পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য আবারও তাগিদ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, জাতীয় উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা সেখানে যেন আমরা সময়মতো সন্তোষজনকভাবে পৌঁছাতে পারি।
আজ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুন ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তিনি বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। সভার শুরুতে মন্ত্রী ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট’ সহ অন্যান্য প্রোজেক্টের কার্যক্রম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের নিকট জানতে চান।
খাদ্যমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট’র আওতায় ৫.৩৫ লক্ষ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ করার কথা জানান। বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, আশুগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মহেশ্বরপাশা ও মধুপুর এ ৮ টি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। চলমান কাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন মন্ত্রী এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।
সভায় উপস্থিত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা বলেন, করোনার কারণে কাজের গতি কিছুটা কমেছে।
মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট’র প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ প্রকল্পের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে হয়। করোনা মহামারির কারণে এ সমস্ত যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তাই কাজের গতি কিছুটা কমেছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এ্যাকশন প্লান থাকা দরকার। একটা স্ট্রাটেজিক প্লান এবং রোডম্যাপ থাকা দরকার। কোন কাজ কখন, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে তা সুস্পষ্টভাবে সেখানে থাকতে হবে।
মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালকদের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের আরসি ফুড, ডিসি ফুডদেরও খাদ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিটি প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করার জন্য আবারো নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ডিপিপি অনুসারে কাজগুলো হচ্ছে কিনা সেদিকে প্রকল্প পরিচালকদের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও লক্ষ রাখতে হবে, যাতে কাজটি ভাল মানের হয়।
মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট’র পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের মধ্যে ‘সারাদেশে ১.৫ লাখ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ’, ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্প’, ‘সারাদেশে পুরাতন খাদ্যগুদাম আনুষঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং অবকাঠামো নির্মাণ’, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাসহ সমন্বিত রাইস মিল নির্মাণ’, ইত্যাদি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান রয়েছে।
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।