পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের নিপীড়ন নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় সাক্ষাতকার দেয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি তরুণ মো. রায়হান কবিরকে নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ঘটনায় সোচ্চার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে গ্রেফতার হওয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে ফেসবুকে।
এদিকে রায়হান কবিরকে আইন সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ হাইকমিশন, পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি এসব দফতরে পাঠানো হয়েছে। এতে রায়হান কবিরের আটকের বিষয়টি যাচাই করে তাকে আইনি সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানের অনুরোধ করা হয়।
গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে মোঃ প্রিন্স খান লিখেছেন, ‘‘তারা কি সভ্য দেশের প্রমাণ দিলো। তারা যে ভুল কাজ গুলো বাংলাদেশীদের সাথে করে আসছে সেটাইত বলেছে।তাদের দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা কিছু বলে নাই। তারা বাংলাদেশীদের কেনো এত অত্যাচার নির্যাতন করে। আর সেটা বলা ভুল। তাদের দেশ যত ধনী হোক না কেন মাহাথির মোহাম্মদ তার দেশ অনেক উন্নয়ন করেছে তবে কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়েছেন তারা কর্মীদের নির্যাতন কিভাবে করতে হয় সেটা শিখেছে। ধনী হলেই যে প্রকৃত সভ্য ভালো দেশ হওয়া যায় না। এটা প্রমাণ করলো মালোশিয়া।’’
মোহাম্মাদ সাইফুদ্দিন লিখেছেন, ‘‘যে দেশে মানুষের ন্যায্য কথা বলার স্বাধীনতা নেই তাদেরকে কখনোই সভ্য দেশ বলা যায়না। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, চাকচিক্য আর মাথা পিছু আয় দিয়ে কাউকে উন্নত দেশ বলাও ভূল। মালয়েশিয়া আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই। এই বুঝি মাহাথির মোহাম্মাদের অর্জন?!’’
জান্নাতুল নাঈম মনি লিখেছেন, ‘‘বিদেশে প্রবাসী ভাইদের একটু হিসেব করে সংযত আচরণ করা উচিত বলে মনে করি। এমনিতেই তো বিদেশে আমাদের রেপুটেশন খুব একটা সুবিধের না, তার উপর আছে আমাদের অথর্ব দূতাবাস। সুতরাং নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে হলেও সংযত হওয়া উচিত। ইনফ্যাক্ট যে দেশের জনতা নিজ দেশে নিগৃহীত তারা অন্য দেশে প্রতিবাদী হতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।’’
শামসুদ্দোহা শোভন লিখেছেন, ‘‘মালয়েশিয়া কিভাবে চলবে সেটা তাদের এবং তাদের জনগণের ব্যাপার। এখানে আমাদের সস্তা আবেগ দেখিয়ে লাভ নেই। উনি মারাত্মক ভুল করেছে এবং সেটার শাস্তি পাচ্ছে। এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ আমাদের দেশে বসে অন্যদেশের কেউ এরকম বললে আপনারা যারা মালয়েশিয়ার চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছেন তারাই আবার ঐ ব্যক্তির চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতেন।’’
এম আলী রহমান লিখেছেন, ‘‘আমরা যারা বিদেশে আছি আমাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ দূতাবাস এর। তার কোন সমস্যা থাকলে দূতাবাস এ অভিযোগ করতে পারত।অন্য দেশে বসবাস করলে অবশ্যই তাকে সে দেশের আইন মেনে চলতে হবে। একজনের ভুলের জন্য হয়ত মালয়শিয়া সব বাংলাদেশীকে মাশুল দিতে হবে।’’
সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘এখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া দেখানো কোন সুযোগ নেই, তারা এগুলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাছ থেকে শিখেছে! নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকার চিত্রশিল্পী শহিদুল আলমের কি হাল হয়েছে সবাই জানা!’’
মোহাম্মাদ ইখলাস লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ও মালেশিয়ায় নিযুক্ত দুতাবাস এর উচিৎ তাকে আইনি সহয়তা দেওয়া।কারণ সে মিথ্যা কিছুই বলেনি।দমন নিপীড়ন নির্যাতন নিয়ে কথা বলা কখনো অন্যায় হতে পারেনা।’’
আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ‘‘মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এভাবে বিদেশে বসে মানুষ নির্যাতিত হবে, নোংরা জেলখানায় আটক থাকবে, জরিমানার টাকা দিবে, লেখাপড়া করবে অথচ চাকরি করার অনুমতি পাবে না, এত এত অভিযোগ মেনে নেয়া যায় না।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।