Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রস্তুত স্পেশাল ট্রেন অনীহা খামারি ও ব্যবসায়ীদের

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের পর কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু স্পেশাল ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি শেষ হলেও পরিবহনের জন্য গরু পাচ্ছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোরবানি পশু যাওয়ার কথা। কিন্তু উপযুক্ত ওয়াগন না থাকায় খামারিরা সাড়া দিচ্ছেন না। ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও গরু ব্যবসায়ীদের কাঙ্খিত সাড়া না পাওয়ায় স্পেশাল ট্রেন চালু হবে কি না-তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

রেলসূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে এবার প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ট্রেনে কোরবানির পশু পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়। গত ৭ জুলাই এমন সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। কিন্তু পশু পরিবহনের জন্য বিশেষায়িত কোনো ওয়াগনই নেই বাংলাদেশে। তবে পণ্যবাহী ওয়াগনেই গরু পরিবহন করতে চায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ ভ‚ঁইয়া বলছেন, পশু পরিবহনের জন্য আলাদা ওয়াগন নেই রেলের। পণ্যবাহী ওয়াগনেই আমরা গরু পরিবহনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু খামারিরা তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। খামারিরা রেল কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, তাদের পোষা গরু আদর যত্মে রাখা। কিন্তু হুড়োহুড়ি বা ঠাসাঠাসি করে মালগাড়িতে ওঠানামা করলে গরু আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। তাই তারা রেলে গরু পরিবহন অনীহা প্রকাশ করছেন।

ট্রেনে করে গরু পরিবহনের জন্য প্রশাসনের সাথে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন রেল কর্মকর্তারা। কিন্তু সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিবহন খরচ কম হলেও তাতে খামারিদের পক্ষ হতে সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকও। রেলের গরু পরিবহনের ঘোষণায় প্রথমে খানিকটা খুশি হয়েছিলেন অনেকেই। তবে নানা সমস্যার কারণে এতে আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না খামারিরা।

রাজশাহীর খামারি ও গরু ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে জানান, দূরের গ্রামের কেউ রেলে গরু ঢাকায় পাঠাতে চাইলে তাকে ট্রাকে করে স্টেশনে গরু আনতে হবে। এরপর মালগাড়িতে গরু ওঠা-নামা করতে হবে। ঢাকায় স্টেশনে নামিয়ে আবারো ট্রাকে করে হাটে নিতে হবে। তাহলে অহেতুক এই ঝামেলার মধ্যে কেন যাবে খামারিরা। রেলের সিদ্ধান্ত ভাল, তবে এই করোনাকালে সুফল আসবে না।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ জানান, কোন কোন স্টেশন হতে গরু ট্রেনে তোলা হবে বা কোন গন্তব্যের ভাড়া কত পড়বে তাও ঠিক করা হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে অবকাঠামোগত সুবিধাও। এখন শুধু গরুর জন্য অপেক্ষা। কিন্তু কোনো স্টেশনেই এখনো গরুর বুকিংয়ের খবর মেলেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ