Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে-ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ৪:৫৬ পিএম

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে। যেভাবে আমাদের দেশে করোনা রোগের বিস্তার হচ্ছে, তার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক চক্রান্তটাও মনে রাখতে হবে। শনিবার ‘জনস্বাস্থ্য কনভেনশন ২০২০’ এর উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
চীন উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের (টিকা) ট্রায়াল বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তবে হঠাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেটা বন্ধ করে দিচ্ছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি লক্ষ করেছি, চীন একটা ভ্যাকসিন ট্রায়াল চায় বাংলাদেশে, অনুমতি পেয়েছে। বাংলাদেশে যেকোনো গবেষণা করার অনুমতি দেয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তাদের অনুমতিক্রমে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) এই গবেষণা শুরু করার কথা। এখানেই চক্রান্তটা। আজ পুঁজিবাদ চাইছে তৃতীয় বিশ্বকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে, যাতে আমাদের অধিকারটা কাগজে-কলমে থাকে। আমরা নিজেদের বিষয় নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করি না। একটা ভ্যাকসিন রিসার্চ হবে, তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এত মাথাব্যথা কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূতের প্রবেশ ঘটেছে। চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে। ঠিক যেভাবে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানিসহ পুঁজিবাদীর ধারকরা তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর বন্ধ করে রেখেছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আইসিডিডিআরবির এই ধরনের গবেষণা নতুন না। তারা ইউরোপের কোম্পানির পক্ষে অতীতে ভ্যাকসিন গবেষণা করেছে, তখন তো আপত্তি উঠে নাই। আজ (চীনের ক্ষেত্রে) আপত্তি কেন? কারণ এখানে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আছে, জনগণের স্বাস্থ্যের ব্যাপার আছে। আজ এটি যদি সফল হয়, ভ্যাকসিনে সফল হয়, তাহলে আমাদের এখানে বিরাট অর্থ সাশ্রয় হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিন গবেষণা অনেক সময়সাপেক্ষ। অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু গবেষণার সুফলের উৎপাদন মূল্য খুবই কম। আজ আমাদের উচিত হবে, চীনের এই গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া। এতে যদি আমরা সফল হই, চীনের সাথে একটা চুক্তি থাকতে পারে। এর সফলতার ৫০ শতাংশের মালিক হবে বাংলাদেশ। জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হবে।
তিনি বলেন, এই চক্রান্ত নিয়ে আমাদের গবেষণার প্রয়োজন, আলোচনা প্রয়োজন। আমি আশা করি, আপনারা এই বিষয়টা ব্যাপকভাবে আলোচনা করবেন। আমি আগেই বলেছি, গবেষণা করান। গবেষণা করার অনুমতি দেয়ার মালিক বিএমআরসি, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল। তারা অনুমতি দিয়েছে। হঠাৎ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেটা বন্ধ করে দিচ্ছে। এ থেকে প্রমাণ হয়, কী রকম চক্রান্তের দিকে আমরা যাচ্ছি। এখানে বিভিন্নভাবে তাদের চর-দালালরা অনুপ্রবেশ করেছে। যা তৃতীয় বিশ্বের, বাংলাদেশের তো অবশ্যই, স্বার্থবিরোধী।
গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে এবং জোনায়েদ সাকির সঞ্চালনায় ‘জনস্বাস্থ্য কনভেনশন ২০২০’ এ প্রায় চল্লিশজন বিশেষজ্ঞ আলোচনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ