পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে একই দিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে জনবল নিয়োগ দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ডা. ফরিদ হোসেন মিঞাকে।
প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক এবং ডা. ফরিদ হোসেন মিঞাকে পরিচালক (হাসপাতাল) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে পৃথক দু’টি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মো. আবু রায়হান মিঞা স্বাক্ষরিত জারিকরা আলাদা ওই দুই প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলমকে সদ্য পদত্যাগ করা প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের এবং ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা ডা. আমিনুল হাসানের স্থলাভিশিক্ত হলেন।
প্রজ্ঞাপন জারির পর নতুন মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি। সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন আমি সেই দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে চাই।
এর আগে সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। গত ২১ জুলাই থেকে থেকে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কারণ চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে দুই বছরের চুক্তিতে ছিলেন তিনি। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল তার সেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত; করোনার সময়ে স্বাস্থ্যখাতের নানা দুর্নীতি এবং সর্বশেষ রিজেন্ট ও জেকেজি কাÐের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। নিজেই পদত্যাগ পত্র জমা দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। একই কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আমিনুল হাসানকে ওএসডি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়।
ডা. খুরশীদ আলম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগ দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি কুমিল্লা মেডিকেলের সার্জারি বিভাগের প্রধান ছিলেন। কাজ করেছেন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজেও।
অপরদিকে ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের য²া নির্মূল কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। তিনি মাদারীপুরের সিভিল সার্জন এবং জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও নিপসমের (জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান) সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।