পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফোন করেছেন। গতকাল দুপুর একটার দিকে টেলিফোন করে কুশলাদি বিনিময় করে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও ইমরান খানের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইমরান খানের মধ্য প্রায় ১৫ মিনিট কথা হয়। প্রেস সচিব আরও জানান, টেলিফোনে কুশলাদি বিনিময়ের পর ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও এর মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগগুলো সম্পর্কে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং এর চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে ইমরান খান শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী তাকে চলমান বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। ইমরান খান সার্কের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ব্যক্ত করেন। তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের একত্রে কাজ করার আশাবাদ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূলত পাকিস্তানের আগ্রহে এই টেলিফোন আলাপ হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথম টেলিফোনে আলাপ করেন ইমরান খান। সেই আলাপে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার শারীরিক অবস্থা বিশেষ করে চোখের অবস্থার খোঁজখবর নেন।
ইসলাবাদ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তার ‘ঋণ অনুদানের স্বর্ণিল উদ্যোগ’ সম্পর্কে অবহিত করেন। দ্বিপাক্ষিক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে পাকিস্তান যে গুরুত্ব দেয় তা তুলে ধরে এবং নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ এবং জনগণের সাথে জনগণের আদান-প্রদানের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সার্কের প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে উভয় দেশের কাজের ওপর গুরুত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইওজে ও কে) গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির স্বার্থে জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের জন্য তার সৌহার্দ্য আমন্ত্রণের পুনরাবৃত্তি করেন।
পাকিস্তান পারস্পরিক বিশ্বাস, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সার্বভৌম সাম্যের ভিত্তিতে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।