পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে উদ্বাস্তু হওয়া মানুষের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত হয়েছে কক্সবাজারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
জানা গেছে, আশ্রায়ণকেন্দটি শুধু আবাস নয়, এখানে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোর স্থায়ী পুনর্বাসন ও আর্থিক সচ্ছলতা আনতেও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সদরের খুরুশকুল মৌজায় ২৫৩ একর জমিতে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তুলেছে সরকার। যেখানে পাঁচতলা বিশিষ্ট ১৯টি ভবন এখন প্রস্তুত। প্রথমভাগে ৬শ’ পরিবার এবং পরবর্তীতে ১শ’ ৩৯টি ভবন নির্মিত হলে এখানে বাস করবেন সাড়ে চার হাজারের বেশি পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তদারকিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করেছে সেনাবাহিনী। নির্মিত ২০টি ভবন উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ। ইতোমধ্যে আশ্রায়ণ প্রকল্পের অনুষ্ঠানস্থলে সাজ-সজ্জাসহ নানা প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নির্মিত ভবনগুলোতে পানি, বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার লাইন সংযোগ প্রস্তুত করা হয়েছে ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার খুরুশকুলে সেনাবাহিনীর তত্ত¡বাবধানে আশ্রায়ণ প্রকল্পের নির্মিত ভবনগুলোর বসতঘর উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়াল প্লাটফরমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সূচনা বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই নির্মিত ২০টি ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯ জন উপকারভোগীদের মাঝে বসতঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এ সময় খুরুশকুল প্রান্তে ৩ জন উপকারভোগী কর্তৃক আশ্রায়ণ প্রকল্পস্থলে রোপন করা হবে ফলদ, বনজ ও ঔষুধি গাছের চারা। সকাল ১১টা ২০ মিনিটে মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিযানুর রহমান। দুপুর পৌনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষ আশ্রায়ণ প্রকল্পের স্মারক উন্মোচন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমদ।
এদিকে খুরুশকুল প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন কক্সবাজারের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় ৩ জন উপকারভোগী অনুভ‚তি প্রকাশ করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, খুরুশকুলে বিশেষ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ২০টি ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রতিটি ভবনে রয়েছে ৩২টি করে ইউনিট। নির্মিত ২০টি অত্যাধুনিক ভবনের নাম প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে লিখে নামকরণ করেছেন বলে জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।