পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আলোচনাসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। একই সাথে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে চলমান বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ যৌথ সভায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য দেশবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। সভায় অনলাইনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্ট মাসে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচি রয়েছে। ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এছাড়া ৫ আগস্ট জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মদিন, ৮ আগস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড এবং ২১ আগস্টের হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, নির্মমতা ও ষড়যন্ত্রের দিক থেকে ১৫আগস্টের ঘটনা অন্য সকল হত্যাকান্ডকে পিছনে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন, সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সৃষ্ট সঙ্কট উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্য মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান আনিস এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।