পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি সাগর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জনাববন্দি প্রদান করেছে। গতকাল মধুপুর থানা পুলিশ তাকে টাঙ্গাইলে প্রেরণ করলে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের আদালতে দুপুরে এ জবানবন্দি দেন। টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ এই তথ্য জানান।
এদিকে গ্রেফতারকৃত অপর এক আসামি জোয়াদ আলীকে সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে ৩ দিনের মঞ্জুর করেন।
র্যাব-১২ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম রোববার রাত ৮টায় মধুপুরের মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়ি আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, নিহত আব্দুল গনির সাথে সাগর আলীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সাগর আলী আব্দুল গনির বাসার কাছে ভাড়া থেকে মধুপুরে রিকশা চালাতেন। বিভিন্ন সময় গনির কাছ থেকে সাগর সুদে টাকা নিয়েছেন। যা পরিশোধে কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছে সে। গত বুধবার সকালে আবার দুইশ’ টাকা চাইতে গেলে আব্দুল গনি তাকে ভৎসনা করেন এবং কোনো ঋণ দেবে না বলে জানান। ধার না পাওয়া এবং অপমান করে তাড়িয়ে দেয়ায় সাগর গণি মিয়াকে হত্যা এবং টাকা-পয়সা লুটের পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাগর তার সহযোগিকে নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে গনির মাস্টারপাড়া এলাকার বাসায় যান। তখন গনির স্ত্রী ও সন্তানরা ঘুমে ছিল। গনির সাথে কথা বলার একপর্যায়ে রুমালে চেতনানাশক নিয়ে তার নাকে মুখে চেপে ধরে অজ্ঞান করেন। অন্যকক্ষে থাকা গনির স্ত্রী ও সন্তানদেরও চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করেন। পরে সাথে নিয়ে যাওয়া ছুড়ি দিয়ে এবং ওই বাড়িতে থাকা কুড়াল দিয়ে তাদের হত্যা করেন। তারা ওই বাড়ি থেকে কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় ঘরের দরজা ও গেইটে তালা দিয়ে যান। পরে সাগর ব্রাহ্মণবাড়ি আশ্রায়ন প্রকল্পে তার বোনের ঘরে লুট করা মালামাল গর্ত করে লুকিয়ে রাখেন।
গত শুক্রবার টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরের মাস্টারপাড়ার আ. গণির তালাবদ্ধ বাসা থেকে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়ার পর ওই দিন রাতেই আব্দুল গনির বড় মেয়ে সোনিয়া বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।