পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যাংকিং খাতের নৈরাজ্য দূরীকরণে কমিশনের পরিবর্তে কমিটি গঠনের নির্দেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়েছে। গতকাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আপিল ফাইল করেন। তার করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঋণ অনুমোদন ও খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা অনুসন্ধান এবং তা প্রতিকারের সুপারিশের ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু রিটে আবেদন জানানো হয়েছিলো কমিশন গঠনের। কাক্সিক্ষত আদেশ না পাওয়ায় তিনি লিভ টু আপিল করেন।
এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকে জালিয়াতি, দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপি বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি জনস্বার্থে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। রিটে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিট চলাকালে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ সাপেক্ষে ঋণখেলাপিদের পুনঃতফসিলের আদেশ জারি হয়। ওই আদেশও চ্যালেঞ্জ করা হয়। ফলে ব্যাংকের আদেশের স্থিতিবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ গতবছর ৩ নভেম্বর ৯ সদস্যের কমিটি গঠনের আদেশ দেন। আদেশে ‘কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট- ১৯৫৬’ এর ৩ ধারা মোতাবেক রিটে প্রত্যাশিত কমিশন গঠন না করে বলা হয়, উক্ত আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারকে কমিশন গঠন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এটি সরকারের বিবেচনা (ডিসক্রিশন)। এ মতামত দিয়ে রিটের নিষ্পত্তি করেন হাইকোর্ট। কিন্তু কমিশন গঠনের কোনো নির্দেশ দেননি।
আপিলে বলা হয়, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ব্যাংকের অর্থ লুটপাট বন্ধে এবং অর্থনীতি শক্তিশালী করতে উক্ত আইনের বিধান অনুসারে কমিশন গঠন করা জরুরি।
উল্লেখ্য, রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এর মধ্যে ২০১৯ সালের ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ মে ওই সার্কুলারের ওপর স্থিতাবস্থা বজার রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু যারা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের সুবিধা নেবেন তারা নতুন ঋণের আবেদন করতে পারবেন না মর্মে-আদেশ দেয়া হয়। রিটের নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুসারে হাইকোর্ট রিটের নিষ্পত্তি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।