Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ড. এমাজউদ্দীন ছিলেন জাতীয়তাবাদী শক্তির বাতিঘর

ঢাবি সাদা দলের স্মরণ সভায় শিক্ষকেরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ১১:৩৭ পিএম

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজদ্দীন আহমদ তার কর্মের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকেরা। তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী শক্তির বাতিঘর। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষকেরা বলেন, দেশের বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে ড. এমাজদ্দীন আহমদের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি স্বশরীরে না থাকলেও তার কর্মের দ্বারা তিনি সকলের কাছে অমর হয়ে থাকবেন। ঢাবি সাদা দলের উদ্যোগে সোমবার রাতে ড. এমাজউদ্দীন আহমদের স্মরণে এক ভার্চুয়াল সভা হয়। ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভার শুরুতেই মরহুম এমাজউদ্দীন আহমদ সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো যেসব শিক্ষক ইন্তেকাল করেছেন তাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমানের পরিচালনায় সভায় অংশগ্রহণ করেন ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. তাজেমরী এস ইসলাম, ড. সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ড. সিরাজুল ইসলাম, ড. এম আব্দুর রশিদ, ড. লায়লা নূর ইসলাম, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেসানী, ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ, খন্দকার মেজবাহ উদ্দিন, ড. এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. আবদুল করিম, অধ্যাপক চেমন আরা, ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, তাহমিনা আখতার, মোঃ আলী জিন্নাহ, অধ্যাপক আতাউর রহমান মিয়াজী, ড. মোঃ সানাউল্লাহ, অধ্যাপক ইয়ারুল কবির, মোঃ আলআমিন, দেবাশীষ পাল, সাইফুদ্দিন আহমেদ, কাজী মাহবুবুর রহমান, আহমেদ বশির, শেখ ইউসুফ, সালমা ইসলাম, বুশরা মেহজাবিন সহ অসংখ্য শিক্ষক।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ বলেন, মরহুম এমাজউদ্দীন আহমদ তরুণদের মতো স্বপ্ন দেখতেন উৎসাহ দিতেন। ছাত্র শিক্ষক সবার কাছে ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। আসলে যার সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। তার মাঝে ছিল অসীম ধৈর্য। তিনি ছিলেন চরিত্রে ও ব্যাক্তিত্বে সফল। মহান আল্লাহ তায়ালা এমাজউদ্দীন আহমদ স্যারকে জান্নাত নসিব করুন এবং পরিবারকে শোক সইবার তৌফিক দান করুন।
ড. সদরুল আমিন বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ একজন বড় মনের এবং ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতির বড় ধরনের ক্ষতি হলো। তার শূনশূন্যতা কখনো পূরণ হবে কি না আমরা থেকে জানিনা।
অধ্যাপক আখতার হোসেন খান বলেন, মরহুম এমাজউদ্দীন আহমদ সত্যিকারের একজন অভিভাবক ছিলেন। দেশের তথা জাতীয়তাবাদীদের প্রকৃত অভিভাবক ছিলেন তিনি। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার মুখে আর কখনো "বাপু" ডাকটি শোনা হবে না।
ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন আমাদের একজন শ্রদ্ধেয় অভিভাবক। যার লেখা রাজনৈতিক ইতিহাস যুগ যুগ ধরে পঠিত হবে। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে চিরস্মরণীয় এবং অমর হয়ে থাকবেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন অত্যন্ত সাবলীল মানুষ। তিনি ছিলেন আমাদের বাতিঘর। জীবনের শেষ দিনগুলোতে তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির অন্যতম প্রেরণার বাতিঘর। তিনি ছিলেন খুবই কর্মক্ষম এবং পাংচুয়াল। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত নসিব করুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ