পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞানপার্টি ও মলম পার্টি চক্রের সদস্যরা। যাত্রীদের নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিচ্ছে তারা। রাজধানীতে ২০টি অজ্ঞানপার্টি ও মলম পার্টি চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। এদের কাছে রয়েছে দেশীয় অস্ত্রও। এদের মধ্যে অনেকেইে একাধিকবার গ্রেফতারের পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে অজ্ঞানপার্টি ও মলম পার্টি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধীরা এসব কাজ করতে গিয়ে কখনো প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ছুরি, চাপাতি, রশি, মরিচের গুঁড়া এবং বিষাক্ত ও নেশাজাতীয় ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে। অপরাধ সংঘটনের সময় তারা ৪ থেকে ৫জন সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। অনেকক্ষেত্রে তাদের জনবলের সংখ্যা অপরাধের ধরন অনুযায়ী ওঠানামা করে। তিসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা যাত্রীবেশে সিএনজিতে ওঠে যাত্রী বা চালকের চোখে মলম লাগিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানোর পর তাদের সিএনজি অটোরিকশাসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এই চক্রের সদস্যরা যাত্রীবেশে সিএনজিতে ওঠে। পরে যাত্রীদের খাবারের প্রস্তাব দেয়। তাদের অচেতন করে কোন এক পর্যায়ে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। লুট করে নেয়া এই সিএনজি বা অটোরিকশা তাদের চক্রের সদস্যদের কাছেই বিক্রি করে। তারা বাসস্ট্যান্ডে ও রেলস্টেশনে কাজ করে থাকে। গ্রেফতারকৃতরা ভোর ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে তাদের এসব কাজ করে থাকেন। গ্রেফতারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গতকাল সোমবার সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, গত রোববার ভোর ছয়টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সড়কে অভিযান চালিয়ে ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মাসুদ, মামুন হোসেন ওরফে সাত্তার, সুমন ওরফে মুসা এবং সুমন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, একটি চাপাতি, ছুরি, রশি, গামছা, নেশা জাতীয় ঘুমের ওষুধ এবং বিষাক্ত মলম উদ্ধার করা হয়। ঈদে গরুর হাটে তাদের টার্গেট ছিল।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করে দস্যুতা সংঘটনকারী একটি সংঘবদ্ধ দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার আশপাশের এলাকায় অটোরিকশার যাত্রী, চালক এবং পথচারীদের গতিরোধ করত। পরে এসব যানে থাকা মানুষদের মলম লাগিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নির্জনস্থানে ফেলে গাড়িসহ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যেত। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জীবন কান্তি সরকার এবং অর্গানাইজ ক্রাইমের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।