পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ও পরে বিয়ের ঘটনায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন তার প্রথম স্ত্রী শাহানাজ পারভীন লিজা।
অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদ যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কুল্লা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক (বিজ্ঞান) হিসাবে কর্মরত আছেন। ২য় স্ত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে অপরিণত বয়সে বিয়ে করে। নিকাহ রেজিস্টারের সহযোগিতায় এ কাজ করেছেন শিক্ষক। রাসেল আহমেদ এক কন্যা সন্তানের জনক। এ ঘটনা এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ানোর সূত্র ধরে শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক রাসেল। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া গত ১৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন রাসেল।
অভিযোগকারী ১ম স্ত্রী লিজা জানান, গত ২০০৬ সালে রাসেল তাকে ভালোবেসে বিয়ে করে। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান আছে। তাদের বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো রাসেল ও তার পরিবার। এ অবস্থায় শার্শা সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে রাসেলের চাকরি হয়। রাসেল পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ের অনেক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে লিজাকে একাধিকবার তার মেয়ের সামনে শারীরিক নির্যাতন করে। তাকে গ্রামে রেখে রাসেল নাভারনে ঘর ভাড়া করে ওই ছাত্রীকে নিয়ে সংসার পাতেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে সংসারে অশান্তির ভয়ে লিজাকে সেই বাসায় তোলে এবং সেখানেও একাধিক মেয়ে পড়ানোর নামে নিয়ে আসত। এই সমস্ত বিষয় তার পরিবার জানার পরও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বরং অভিযোগ করলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিত। এ বিষয়ে ১ম স্ত্রী লিজা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পুলক কুমার মন্ডল বলেন, শিক্ষক বা যারা তাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও আইনগত শাস্তি পেতেই হবে। তবে সুবিচারের জন্য আদালতে আশ্রয় নেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।