Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বরান্তর মরাধনু জলমহালের ইজারা বাতিলের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরি উপজেলার ‘বরান্তর মরাধনু জলমহাল’টি প্রকৃত মৎসজীবীদের ইজারা না দিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যাক্তির নামে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের ‘রাজিবপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সম্পাদক বসুদেব বর্মন সম্প্রতি এমন অভিযোগ এনে ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
বসুদেব বর্মন তার আবেদনে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারির ২ তারিখে বরান্তর মরাধনু জলমহালটি ইজারা টেন্ডার অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ দরদাতা এবং একমাত্র তীরবর্তী সমিতি হিসাবে ‘রাজিবপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নব্বই লাখ টাকা জমা দিয়ে ভোগ দখল করি। দেশের বর্তমান অবস্থা অর্থাৎ কভিড-১৯ এর কারণে ঠিকমত মাছ ধরা এবং বিক্রয় করতে পারি নাই। যার দরুন সমিতির সাধারণ মৎস্যজীবীরা আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। এমতাবস্থায় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন পুনরায় ইজারা দেওয়ার জন্য টেন্ডার করেন যা আমরা কেউ জানতে পারি নাই। কারণ উক্ত টেন্ডার কোন প্রকার প্রচারণা ছাড়াই আহবান করা হয়। যে কারণে এলাকার অন্য কোন মৎস্যজীবী সমবায় সিমিত টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। শুধু একটি সমিতি অংশগ্রহণ করে। অথচ সব সময় এই জলমহালটি টেন্ডার ৪/৫ টি সমিতি অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া ঐ একটি সমিতি যার নাম আসাদপুর নুরানী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড শুধু মাত্র টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে। তবে এই সমিতি প্রকৃতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি নয়। ২০০৯ জলমহাল নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা আছে যে কোন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিতে একজনও যদি প্রকৃত মৎস্যজীবী না হয় তাহা হলে সেই সমিতি জলমহাল বন্দোবস্ত পাওয়া যোগ্য হবে না। এ সমিতি জলমহাল বন্দোবস্তের অযোগ্য বিবেচিতহবে। আসাদপুর নুরানী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সকল সদস্যই অমৎস্যজীবী। তার প্রমাণ স্বরূপ জেলা সমবায় অফিসার, উপজেলা সমবায় অফিসার, জেলা মৎস্যজীবী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকতার রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তারপরও জেলা জলমহাল কমিটি এই আসাদপুর নুরানী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নুরুল ইসলামের নামে ইজারা দেয়ার আদেশ করেন। যা আইনের পরিপন্থী এবং নূরুল ইসলাম বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন। সে প্রকৃত পক্ষে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। তাই আমরা চাই এ টেন্ডারটি বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার আহবান করে হোক। যাতে প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি অংশগ্রহণ করতে পারে এবং ইজারা পায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ