পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর ও খুলনার বিরাট এলাকার অভিশাপ ভবদহ সুইস গেট। বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিরাট এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এবারও যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলা যশোর সদর, অভয়নগর, মণিরামপুর, কেশবপুর, ফুলতলা, ডুমুরিয়া ও তালার ছোট বড় ৫৪টি বিলের পানি টইটম্বুর অবস্থা। ভারি বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয়ে বিপর্যয় ঘটতে পারে। এতে সৃষ্টি হবে মানুষের মরণদশা। একথা ভবদহ এলাকার লোকজনের। তাদের কথা ইতোমধ্যে কিছু কিছু বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা রাজনৈতিক নেতা ইকবাল কবীর জাহিদ গতকাল রোববার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ভবদহ সমস্যা জিইয়ে রেখে কায়েমি স্বার্থবাদী মহল ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পের পর প্রকল্প গ্রহণ করে অর্থ লোপাটের কারখানায় পরিণত করেছে। বরাবরই সংশ্লিষ্টরা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। তার মতে, এই মুহূর্তে ভবদহের ২১ ও ৯ ভেণ্টের মাঝখান দিয়ে নদী সংযোগ ও বিল কপালিয়াসহ পর্যায়ক্রমে বিল খুকশিয়াসহ সব বিলে টিআরএম চালু এবং উজানে নদী সংযোগ বিশেষ করে ভৈরবের সাথে মুক্তেশ্বরীর সংযোগ স্থাপন করলে ভবদহের স্থায়ী সমাধান হবে। কিন্তু বরাবরই ভুক্তভোগী জনসাধারণকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভবদহ এলাকার কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, কয়েকদিনের ছোটখাটো বৃষ্টিতেই শ্রীনদী, হরিহর নদী, টেকা নদী মুক্তেশ্বরী নদী ও আশপাশের বিলের পানি ওপচে পড়তে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টি হলে ভবদহ এলাকার অবস্থা হবে ভয়াবহ। বিলের পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ভবদহ এলাকার বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ভবদহে একটা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। ৮০৭ কোটি টাকার প্রজেক্ট ফাইলটি অনুমোদনের জন্য প্লানিং কমিশনে আটকে আছে করোনা পরিস্থিতির কারণে। প্রজেক্টটি চালু করা গেলে ভবদহ সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
প্রঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৬০ সালে সবুজ বিপ্লবের নামে যশোরের সদর, মণিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর, খুলনার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মধ্যবর্তী ভবদহ নামকস্থানে শ্রীনদীর ওপর নির্মাণ করা হয় একটি বড় সøুইস গেট। একপর্যায়ে যশোর ও খুলনার ৮ লক্ষাধিক মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয় এ সøুইস গেটটি। গেট সংলগ্ন শ্রীনদী, টেকা, হরিহর ও মুক্তেশ্বরী এই ৪টি নদী রয়েছে। সøুইস গেট দিয়ে বিল কেদারিয়া, বিল খুকশিয়া, বিল কপালিয়া, বিল বকর ও বিল আড়পাড়াসহ যশোর ও খুলনা এলাকার বড় ২৭টি বিলসহ ৫৪টি বিলের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে বিল তীরবর্তী আশপাশের শত শত গ্রামে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি ভয়াবহতায় রূপ নেয়। ভবদহের কারণে বছরের পর বছর ধরে বহু কৃষক পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেক অনেক বাড়ি-ঘর, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, হাট-বাজার ও আবাদী জমির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। ঘটেছে জীব-বৈচিত্র্যের পরিবর্তন। তারপরেও ভবদহের স্থায়ী সমাধান হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।