পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যবসায়ী সিন্ডিকিটের কবল থেকে চামড়া শিল্পকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে আসন্ন কোবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে দাবি জানিয়ে জাতীয় উলামা পরিষদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রেখেছেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, আল্লামা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাইফুল্লাহ, মাওলানা বশির আহমদ, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা নূরুল্লাহ।
মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, দেশের অতি সম্ভাবনাময়ী চামড়া শিল্প ধ্বংসে যেমন দেশের উন্নয়ন বিরোধী একটা চক্র কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি এই শিল্পের সাথে জড়িত ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটও কাঁচা চামড়ার মূল্যে ধ্বস নামিয়ে এতিম, গরীব ও নি:স্ব মানুষের অধিকার লুটে নিতে তৎপর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার গরীব ও এতিমদের অধিকার রক্ষার পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। যে কারণে গত কয়েক বছর ধরে কাঁচা চামড়ার মূল্যে বিশাল ধ্বস নেমেছে। এতে এতিম ও গরীবরা চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতিকে রক্ষার পাশাপাশি চামড়ার প্রকৃত হকদার এতীম, গরীব ও দুস্থ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সিন্ডিকেট চক্রকে উৎখাত করে চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় গত বৎসরের মতো লাখ লাখ চামড়া বিনষ্ট হওয়ার মতো ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে ব্যর্থ হলে দেশের তাওহিদী জনতা মাঠ পর্যায়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এতীম ও গরীবের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে জাতীয় উলামা পরিষদ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
বন্যা পরিস্থিতির উল্লেখ করে আল্লামা কাসেমী বলেন, বর্তমানে দেশের বড় একটা অংশ বন্যা কবলিত হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে। করোনা পরিস্থির কারণে এমনিতেই তারা বহুমুখী সঙ্কটে ছিল। বন্যার কারণে উপদ্রুত এলাকার মানুষ মানবেতর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। সরকারের পাশাপাশি দেশের সক্ষম নাগরিকদের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী নিয়ে পানিবন্দি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা সরকারের কাছে চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবি জানাই। যাতে দেশের লাখ লাখ এতিম, গরীব ও নি:স্ব মানুষের অধিকার রক্ষা হয় এবং কওমি মাদ্রাসাসমূহের বিপুল সংখ্যক এতীম ও গরীব ছাত্রের ভরণপোষণে সহযোগিতা হয়।
মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর) বলেন, চামড়া ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যাব্যসায়ীদের সিন্ডিকেট একজোট হয়ে গরীবদের অধিকার লুটে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাবো, আপনি দেশের গরীব দুঃখী মানুষকে অনেক দান-সদক্বা ও ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। অনুগ্রহ করে কোবানির চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণে কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এতে এতীম, গরীব ও অসহায় মানুষ অনেক উপকৃত হবেন। তবে সরকার যদি আসন্ন ঈদে চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে ব্যর্থ হয়, আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে এতীম ও গরীবদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ। মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর) এর মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।