নগরীতে সাদা পোশাকে পুলিশের অভিযানের মধ্যে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় রাস্তায় নেমে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছেন। নিহত সালমান ইসলাম মারুফের (১৮) পরিবারের দাবি পুলিশের মারধরে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ দাবি করেছে অভিযানের সময় তাকে ছাড়িয়ে নিতে আসা তার মা এবং বোনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়ায় সে বাসায় ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার বাদামতলীর বড় মসজিদ গলিতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, মারুফের বাসার পাশে সন্ধ্যায় এক যুবককে চোর সন্দেহে লোকজন মারধর করে। এসময় সে নিজেকে ডবলমুরিং থানার সোর্স দাবি করে। এ ঘটনার পর ডবলমুরিং থানার এসআই হেলালের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে কয়েকজন কথিত ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে মারুফের বাসায় হানা দিয়ে তাকে আটক করে।
তার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে এসআই হেলাল। তা না হলে তাদের থানায় চালান দেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় তার মা ও বোনসহ প্রতিবেশিরা তাদের ঘেরাও করে মারুফকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে হেলাল নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মারুফকে পুলিশের হাত থেকে কেড়ে নেয় প্রতিবেশিরা। এদিকে পুলিশের সাথে টানা হেঁচড়ায় মারুফের বোন মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও পুলিশ তাকে এবং তার মাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। এর মধ্যে মারুফের লাশ পাওয়া যায়। স্বজনদের অভিযোগ পুলিশের মারধরে মারুফ মারা গেছে। মারুফ স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সে মাদক ব্যবসায়ী নয়। পুলিশের সোর্সকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ ওই কিশোরকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে তুলে নিতে আসে। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, রাতে পুলিশ মারুফের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। সেখানে পুলিশ অভিযানে গেলে মারুফের মা ও বোন অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করেন। তারপরও পুলিশ তাদের গাড়িতে তুলে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধারে গেলে এলাকার লোকজনের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। এসময় কয়েকশ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুরও করে। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার শ্রীমা চাকমাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।