পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুচিকিৎসা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা চেয়েছেন মুক্তিযোদ্বারা। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, করোনাভাইরাসের সংকটকালে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় ইন্তেকাল করেছেন। তাদের কোনো হাসপাতালে ভর্তি করেনি।
বৃহ্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নিকট অশ্র সমর্পণ কারী ঢাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমাছ উদ্দিন, তেজগাঁও এর সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব আবুল খায়ের, শেরে বাংলা নগর থানার সাবেক কমান্ডার রহমত আলী, ভাড্ডার সাবেক কমান্ডার আবদুস ছোবান, দাগনভুইয়ার সাবেক কমান্ডার শরীয়ত উল্লা বাংগালী কুমিল্লার পিন্টু, কমান্ডার সিরাজ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক নেতা ছাইদুজ্জমান তারা, খালেকুজ্জামান ফারুক, কালী নারায়ণ লোদ, সহ সাড়াদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। কিন্তু তাদের সুচিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। এম্বুলেন্সে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে স্বজনরা ঘুরেছে কিন্তু কোন হাসপাতাল মুক্তিযোদ্ধাদের ভর্তি করেনি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে যেখানে সকলের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্মুক্ত তারপর ও ঔষধ পথ্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ ই আগষ্ট ২০১৮ তারিখে ৩৮৬ নাম্বার স্মারকে ঢাকার ১৪ টি বিশেষায়িত হাসপাতাল সহ সকল জেলা উপজেলার ৪৯৭ টি হাসপাতালে প্রায় ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বারডেম হাসপাতাল দেয়া হয়েছে ১কোটি টাকা। আপনার তরফ থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্বারা চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, শেষ বয়সে তারা যাবেন কোথায়। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সাথে সকল জেলা প্রশাসক সাহেবদের মুক্তি যোদ্ধাদের চিকিৎসার বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা চাই। আপনি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেয়ার দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে আজও বঙ্গবন্ধুর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা সংসদের নির্বাচন আয়োজন করা হয় নাই। কোনো পর্যায়ে মুক্তি যোদ্ধা সংসদের কমিটি না থাকাতে আরও অসুবিধা হয়েছে। মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আপনার নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে ।
তারা আরো বলেন, আমরা না পেলেও করোনায় মোটামুটি সব সেক্টরের লোকজন সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানিভাতা ও বর্তমান অর্থ বছরে বাড়ানো হয় নাই এই বয়সে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কোনো না কোনো ঔষধ কিনতে হয়। ভাতা আপনি চালু করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাই কে ভাতার আওতায় নিয়ে এসেছেন। এখন সবাই ১২,০০০/টাকা পায়। আপনি দয়া করে সবাইকে ভাতার সমপরিমাণ চিকিৎসা ভাতা প্রদানের আদেশ দিন। হাসপাতলে যে টাকা দেয়া হয়েছে তা ফেরত নিয়ে আসতে নির্দেশ দিন। হাট বাজারের ৪% টাকা সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ভাতার সাথে দেয়ার আদেশ দিন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, বি এল এফ মুজিব বাহিনীর যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল হাই, এম এ রশীদ, সৈয়দ সামছুল কাউনাইন কুতুব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা (নির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব) সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব শরীফ উদ্দিন, ৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্বা সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীর প্রতিক, মাহমুদ পারভেজ জুয়েল, ফরিদপুরের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ রাজশাহীর মীর ইকবাল গাইবান্ধার মাহমুদুল হক শাহজাদা ময়মনসিংহময়মনসিংহের আবদুর রব লক্ষীপুরের নুরুজ্জামান মাষ্টার, টাংগাইলের সাবেক কমান্ডার কাজী আশ্রাফ হুমায়ুন বাংগাল, সাবেক নির্বাচিত জেলা কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতিক, নেএকোনার সাবেক কমান্ডার নুরুল আমিন, কুড়িগ্রামের সাবেক কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, কুমিল্লার সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল, চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক কমান্ডার মোজ্জাফর, ঝিনাইদহের সাবেক কমান্ডার মুকবুল আহমেদ, মৌলভীবাজারের জামাল, কিশোরগঞ্জের আসাদ উল্লা, বান্দরবনের এম এ জলিল হবিগঞ্জের জুয়েল , ডিপুটি কমান্ডার সুকোমল, বেগমগঞ্জের আবুল হোসেন বাংগালী মিরেরশরাইয়ের কবির, পরশুরামের হুমায়ুন শাহরিয়ার, তেজগাঁও এর মোঃ আবুল বাশার, মিরপুরের কমান্ডার মোঃ নজরুল ইসলাম, কাফরুলের মোঃ শওকত হোসেন, ঢাকা ১৫ আসনের এ বি সিদ্দিক মোল্লা, শ্যামপুরের শামসুজ্জামান বাবুল, মোহাম্মদপুরের এল এম জি রব, ঢাকা মহানগরীর আমির হোসেন মোল্লা, ঢাকা জেলার সাবেক কমান্ডার মোঃ আবু সাঈদ, জামালপুরের সুজাত আলী রাজশাহীর মহানগরীর ডাঃ মন্নান মুন্সীগন্জের হারুনর রশীদ জিল্লুর, ফেনীর সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব আবদুল মোতালেব, ডিপুটি কমান্ডার আবদুর রহমান মজুমদার কুষ্টিয়ার মানিক ঘোস বগুড়ার ডাঃ জহুর প্রমুখ নোয়াখালীর জি এস কাসেম ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।