Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুচিকিৎসা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ চান মুক্তিযোদ্বারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২০, ৭:৪১ পিএম

সুচিকিৎসা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা চেয়েছেন মুক্তিযোদ্বারা। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, করোনাভাইরাসের সংকটকালে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় ইন্তেকাল করেছেন। তাদের কোনো হাসপাতালে ভর্তি করেনি।
বৃহ্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নিকট অশ্র সমর্পণ কারী ঢাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমাছ উদ্দিন, তেজগাঁও এর সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব আবুল খায়ের, শেরে বাংলা নগর থানার সাবেক কমান্ডার রহমত আলী, ভাড্ডার সাবেক কমান্ডার আবদুস ছোবান, দাগনভুইয়ার সাবেক কমান্ডার শরীয়ত উল্লা বাংগালী কুমিল্লার পিন্টু, কমান্ডার সিরাজ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক নেতা ছাইদুজ্জমান তারা, খালেকুজ্জামান ফারুক, কালী নারায়ণ লোদ, সহ সাড়াদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। কিন্তু তাদের সুচিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। এম্বুলেন্সে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে স্বজনরা ঘুরেছে কিন্তু কোন হাসপাতাল মুক্তিযোদ্ধাদের ভর্তি করেনি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে যেখানে সকলের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্মুক্ত তারপর ও ঔষধ পথ্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ ই আগষ্ট ২০১৮ তারিখে ৩৮৬ নাম্বার স্মারকে ঢাকার ১৪ টি বিশেষায়িত হাসপাতাল সহ সকল জেলা উপজেলার ৪৯৭ টি হাসপাতালে প্রায় ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বারডেম হাসপাতাল দেয়া হয়েছে ১কোটি টাকা। আপনার তরফ থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্বারা চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, শেষ বয়সে তারা যাবেন কোথায়। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সাথে সকল জেলা প্রশাসক সাহেবদের মুক্তি যোদ্ধাদের চিকিৎসার বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা চাই। আপনি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেয়ার দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে আজও বঙ্গবন্ধুর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা সংসদের নির্বাচন আয়োজন করা হয় নাই। কোনো পর্যায়ে মুক্তি যোদ্ধা সংসদের কমিটি না থাকাতে আরও অসুবিধা হয়েছে। মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আপনার নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে ।
তারা আরো বলেন, আমরা না পেলেও করোনায় মোটামুটি সব সেক্টরের লোকজন সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানিভাতা ও বর্তমান অর্থ বছরে বাড়ানো হয় নাই এই বয়সে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কোনো না কোনো ঔষধ কিনতে হয়। ভাতা আপনি চালু করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাই কে ভাতার আওতায় নিয়ে এসেছেন। এখন সবাই ১২,০০০/টাকা পায়। আপনি দয়া করে সবাইকে ভাতার সমপরিমাণ চিকিৎসা ভাতা প্রদানের আদেশ দিন। হাসপাতলে যে টাকা দেয়া হয়েছে তা ফেরত নিয়ে আসতে নির্দেশ দিন। হাট বাজারের ৪% টাকা সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ভাতার সাথে দেয়ার আদেশ দিন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, বি এল এফ মুজিব বাহিনীর যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল হাই, এম এ রশীদ, সৈয়দ সামছুল কাউনাইন কুতুব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা (নির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব) সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব শরীফ উদ্দিন, ৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্বা সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীর প্রতিক, মাহমুদ পারভেজ জুয়েল, ফরিদপুরের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ রাজশাহীর মীর ইকবাল গাইবান্ধার মাহমুদুল হক শাহজাদা ময়মনসিংহময়মনসিংহের আবদুর রব লক্ষীপুরের নুরুজ্জামান মাষ্টার, টাংগাইলের সাবেক কমান্ডার কাজী আশ্রাফ হুমায়ুন বাংগাল, সাবেক নির্বাচিত জেলা কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতিক, নেএকোনার সাবেক কমান্ডার নুরুল আমিন, কুড়িগ্রামের সাবেক কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, কুমিল্লার সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল, চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক কমান্ডার মোজ্জাফর, ঝিনাইদহের সাবেক কমান্ডার মুকবুল আহমেদ, মৌলভীবাজারের জামাল, কিশোরগঞ্জের আসাদ উল্লা, বান্দরবনের এম এ জলিল হবিগঞ্জের জুয়েল , ডিপুটি কমান্ডার সুকোমল, বেগমগঞ্জের আবুল হোসেন বাংগালী মিরেরশরাইয়ের কবির, পরশুরামের হুমায়ুন শাহরিয়ার, তেজগাঁও এর মোঃ আবুল বাশার, মিরপুরের কমান্ডার মোঃ নজরুল ইসলাম, কাফরুলের মোঃ শওকত হোসেন, ঢাকা ১৫ আসনের এ বি সিদ্দিক মোল্লা, শ্যামপুরের শামসুজ্জামান বাবুল, মোহাম্মদপুরের এল এম জি রব, ঢাকা মহানগরীর আমির হোসেন মোল্লা, ঢাকা জেলার সাবেক কমান্ডার মোঃ আবু সাঈদ, জামালপুরের সুজাত আলী রাজশাহীর মহানগরীর ডাঃ মন্নান মুন্সীগন্জের হারুনর রশীদ জিল্লুর, ফেনীর সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব আবদুল মোতালেব, ডিপুটি কমান্ডার আবদুর রহমান মজুমদার কুষ্টিয়ার মানিক ঘোস বগুড়ার ডাঃ জহুর প্রমুখ নোয়াখালীর জি এস কাসেম ।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৭ জুলাই, ২০২০, ১০:৩৬ পিএম says : 0
    মুক্তিযোদ্ধাদের এই দাবী খুবই ন্যায্য দাবী। মুক্তিযোদ্ধারা আর কয়দিন বাচবেন এটা একবার প্রধানমন্ত্রীর সচিবদের ভেবে দেখা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সচিবরাই দেশের কাজ করে থাকেন আর এদেরকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন প্রধানমন্ত্রী। আমি বিভিন্ন কাজে উপলব্ধি করেছি কোন মন্ত্রী যদি কিছু করতে চান আর সেটা যদি সচিবের পছন্দ না হয় তাহলে সচিব সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে যান এবং সেখান থেকে তাঁর ইচ্ছা মাফিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আসেন। যেজন্য আগষ্ট ১৯৭৫ সালের পরথেকে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের কোন ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তখন থেকেই মন্ত্রণালয়ের সকল ক্ষমতার একছত্র সচিবদের হাতেই ছিল এবং এখনও আছে। ১৯৯৬ সালে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করার জন্যে নেত্রী হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মান দিয়ে নিজের সম্মান আল্লাহ্‌র কাছ থেকে নিয়েছিলেন। আজ আমি বলতে চাই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানিত করার কারনেই আল্লাহ্‌ পাক নেত্রী হাসিনাকে সম্মানিত করেছেন। এই মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেক অনিয়ম রয়েছে আর সেই অনিয়মের সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭৮ সালে জিয়া মিয়ার দ্বারা। জিয়া মিয়ার করা তালিকায় নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কারসাজী করার কারনেই জিয়া মিয়া নিপাত গেছেন এমনকি তাঁর দলও নিশ্চিহ্ন হবার পথে এটাই আল্লাহ্‌র নীরব বিচার। সচিবেরা জামাতীদেরকে সমাদর করেন আর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বঞ্চিত করেন এটাই মহা সত্য। আমি আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস রেখে বলতে চাই আল্লাহ্‌ একদিন এই সচিবদের মুখশ খুলে দিবেন ইনশ’আল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • বুলু খান ১৮ জুলাই, ২০২০, ১১:২১ এএম says : 0
    একে বারে সত্য কথা। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেছিল এবার ১৫০০০ টাকা ভাতা হবে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা এবারের বাজেটে তাদের কথা কোন উল্লেখই নাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ