পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারির হোতা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিমকে গ্রেফতারের ঘটনা। সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা শাখরা কোমরপুর থেকে বোরকা পরা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পরপরই সাহেদের হাতকড়া পরা, কোমরে পিস্তল গোঁজা, গায়ে কাঁদা মাখা ও বোরকা পরা বেশ কিছু ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বহুল প্রতীক্ষার গ্রেফতারের এই ঘটনায় নানা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি মাছের ঘের থেকে সাহেদ করিমকে আটক করে র্যাব। সে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের জানিয়েছেন খুলনা র্যাব ৬ এর সদস্যরা।
মো. আল-আমিন সনি লিখেছেন, ‘‘পুলিশ কিংবা র্যাব অনেকেরই সফল অভিযানের খবর পত্রপত্রিকায় পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে।অভিযানে হাতকড়া পরা ব্যক্তি বন্ধুক ছাড়াই গোলাগুলি করেছে অবশেষে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে! মরা দেহের পাশে ইয়াবা বা অস্ত্র দেখা গেছে। অথচ আমাদের সাহেদ সাহেবের সাথে অস্ত্র থাকার পরেও কিছু হল না!অস্ত্র কোমরেই আছে!গ্রেফতারের সাথে সাথেই অস্ত্র নিয়ে নেওয়ার নিয়ম কিন্তু অস্ত্র কোমরে থাকাকালীন ফটোশুট আমার জীবদ্দশায় এই প্রথম।’’
মো. নুর আলম বাবু লিখেছেন, ‘‘এই ধরনের ছবি দেখে মানুষ হিসাবে ব্যক্তিগতভাবে আমার খুবই খারাপ লাগছে অতএব যারা রাষ্ট্রের কুকর্মের সাথে জড়িত প্রত্যেকের জন্য এতে শিক্ষনীয় আছে। তাই সাধু সাবধান। এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদ আমলা ব্যবসায়ী সহ সকল শ্রেণী ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আপনার সন্তান পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন সকলের কথা ভাবুন।’’
আইজাস নামহার লিখেছেন, ‘‘ঘটনার পেছনে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইন এর আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে , যেন ভব্যিষৎ এ কেউ এ ধরণের কাজ করতে সাহস না পায়। শাহেদ এর এই ইস্যু টা আমাদের গলার কাটা এখন। সাহেদের সাথে জড়িত সবার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
এরফানুল হক মাসুম লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ প্রশাসনকে। ওর উপযুক্ত শাস্তি চায় আজ ১৮ কোটি মানুষ।যারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলে তাদের বিচার জরুরী ভাবে করা হউক।ওর সাথে যারা জড়িত তাদের মুখোশ না খুললে এমন ঘটনা আরো হবে। খুব দ্রুত এর বিচার করা হউক।’’
লাবিব আহসান লিখেছেন, ‘‘আমাদের সমাজে এমন অসংখ্য লম্পট, বাটপার আর ঠকবাজ আছে যারা উপরমহলের আশীর্বাদে তাদের ম্যানেজ করেই প্রকাশ্যে সবকিছু করে। মাঝে মধ্যে হঠাৎ ছন্দপতন হয় আর কেবল তখনই জনগণ গুটিকয়েকের আসল রুপটা জানতে পারে মাত্র৷ ধরা পড়লে আবার কেউ তাদের চিনে না কিক্ত তার আগ পর্যন্ত এরাই সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস ছিল!’’
নুর মোহাম্মাদ চৌধুলী লিখেছেন, ‘‘গ্রেফতার হয় কিন্তু শাস্তিতো হয়না, আর হলেও পরে মাফ করে দেয়া হয়। অনেক খুনির আসামীকেও মাফ করে দেয়া হয়েছে কিসের বিনিময়ে সেটা জানিনা!’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।