পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া অরক্ষিত। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকছে। এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকায় কুতুবদিয়া উপক‚লের উত্তর ধুরুং এলাকা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। এতে শতশত পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে। অবশ্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দাবি আগামী এক মাসের মধ্যে ভাঙা বেড়িবাঁধ এলাকায় মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কুতুবদিয়া উপক‚লের ১৪ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত করার জন্য প্রায় ৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। বিগত ৪ বছরেও বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’র অবহেলার কারণে বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে মন্তর গতিতে। গত অর্থ বছরে নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ডকইর্য়াডের নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদার ঈগল রিচ নতুনভাবে বেড়িবাঁধ মেরামত ও উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের উন্নয়ন কাজের প্রাক্কলনের সাড়ে ৯ কিলোমিটার কাজের মধ্যে কাহারপাড়া, তেলিপাড়া, পূর্ব-পশ্চিম তাবলরচর, আনিচের ডেইল, জেলেপাড়া, দক্ষিণ মুরাণিয়া, অমজাখালী, দক্ষিণ কায়ছারপাড়া এলাকাসহ প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। তন্মধ্যে প্রাক্কলনে ৭ কিলোমিটার সিসি বøক ও জিও ব্যাগ দ্বারা বাঁধ মেরামত কাজের মধ্যে কাহারপাড়া, তাবলরচর, জেলেপাড়া, দক্ষিণ কায়ছারপাড়া এলাকায় এক কিলোমিটার সিসি বøক ও জিও ব্যাগ দ্বারা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে সমাপ্ত করা হবে বলে ঈগল রিচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর প্রকৌশলী শাহীন নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে কায়ছারপাড়া, নয়াকাটা, আকবরবলীঘাট, পেয়ারাকাটা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। বর্তমানে এসব এলাকায় জোয়ারভাটা চলছে। অবশ্য আগামী এক মাসের মধ্যে বাঁধের মাটির কাজ শেষ করার জন্য সরঞ্জামাদি মজুদ আছে। বøক তৈরির জন্য পাথর ও বালি মওজুদ করা হচ্ছে। আগামী অক্টোবর নভেম্বর মাসে বøক তৈরির কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুতুবদিয়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় শাখা কর্মকর্তা এলটন চাকমা জানান, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থ বছর বরাদ্দকৃত অর্থের প্রাক্কলন কাজের মধ্যে ৯ কিলোমিটার মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত এবং সিসি বøক ও জিও ব্যাগ দ্বারা ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ করার কথা। বর্তমানে প্রাক্কলিত সিসি বøক ও জিও ব্যাগ দ্বারা তাবলরচর, কাহারপাড়া, জেলেপাড়া, এক কিলোমিটার মাটির বাঁধের কাজের ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।
এছাড়াও প্রাক্কলিত বরাদ্দের সাড়ে ৫ কিলোমিটার সিসি বøকের কাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শেষ করতে না পারায় ঐ এলাকা দিয়ে চলতি বর্ষা মৌসুমে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এলাকা।
পাউবোর বান্দরবন জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, চলতি অর্থ বছর জেলেপাড়া, মুরালিয়া, পূর্ব-পশ্চিম তাবলরচর, বায়ুবিদ্যুৎ, কাহারপাড়া, চরধুরুং এলাকায় মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ ৭০ ভাগ শেষ করেছে। কায়ছারপাড়া, চরধুরুং, নয়াকাটা এলাকায় মাটির বাঁধ মেরামত করতে না পারায় ঐ এলাকায় জোয়ারে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রাক্কলিত বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।