পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃষ্টি আর জোয়ারে চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাঙ্ক সড়কের বেহাল দশা। প্রধান প্রধান সড়কজুড়ে ব্যাপক খানাখন্দ। কোথাও বড় বড় গর্ত। আরো শোচনীয় অভ্যন্তরীণ সড়ক-উপসড়কগুলোর অবস্থা। অর্থনীতির লাইফ লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী আঞ্চলিক মহাসড়কের অবস্থাও নাজুক।
টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামোও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে টানা প্রায় তিন মাসের অঘোষিত লকডাউনে সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ বন্ধ ছিলো। এখন বর্ষায় বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে সংস্কার। এতে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী আমদানি-রফতানি পণ্যসহ মালামাল পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তায় নেমে দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ। গর্তে যানবাহন আটকে নিত্য যানজট হচ্ছে। ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যানজটে আটকা পড়ে কর্মজীবীদের নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বন্দরনগরীর প্রধান পাঁচটি সড়কে চলছে সংষ্কার ও উন্নয়ন কাজ। বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে না পারায় এইসব সড়কের অবস্থা এখন বেহাল। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কের কিছু কিছু অঙ্ক গ্রামের ডোবার রূপ ধারণ করেছে। পোর্ট কানেকটিং রোড, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট সড়ক, টাইগারপাস রোড, বায়েজিদ রোডের সম্প্রসারণ চলছে। প্রধান সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ইপিজেড হয়ে সল্টগোলা ক্রসিং, চট্টগ্রাম বন্দর অংশে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ।
এসব সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় অন্যসড়ক গুলোতে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে নগরীর প্রায় সব সড়কে এখন যানজট, বিশৃঙ্খলা। গতকাল মঙ্গলবারও নগরীর বেশিরভাগ সড়কে ছিল তীব্র যানজট। বর্ষার আগে করোনার কারণে কোন সড়কে সংস্কার করা যায়নি। ফলে প্রায় সব সড়কে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান সড়কের মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট অংশের কিছু কিছু স্থানে রাস্তায় বড় বড় গর্ত। তাতে কাদাপানি জমে যানবাহন চলাচালের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফ্লাইওভারের উপর খানাখন্দ। মুরাদপুর ফ্লাইওভারে বৃষ্টির পানি জমে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
গণপরিবহনসহ যানবাহন চলছে হেলেদুলে। রিকশা অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন আটকা পড়ছে গর্তে। পথচারীরাও নাকাল হচ্ছেন রাস্তায় নেমে। নগরীর পাহাড়তলী, অলঙ্কার, সাগরিকা, বন্দর, ফকির হাট, নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা, চকবজার, কালামিয়া বাজারসহ প্রায় সব এলাকায় সড়কের বেহাল দশা। চট্টগ্রাম ওয়াসা পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য নগরীর অলিগলিতে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করে। এসব সড়কও পুরোপুরি সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। নগরীর বিশাল এলাকা নিয়মিত জোয়ারে ডুবছে। এসব এলাকার সড়কের অবস্থা এখন শোচনীয়। মহানগরীর ১২শ’ কিলোমিটার সড়কের প্রায় এক তৃতীয়াশের অবস্থা নাজুক।
তবে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, চলমান বর্ষায় কত কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার হিসাব এখনও করা হয়নি। করোনার কারণে প্রায় তিন মাস এবং বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ করতে না পারায় সড়কে ক্ষতি হয়েছে বেশি। যেসব সড়কে বড় বড় গর্ত হয়েছে সেখানে জরুরি সংস্কার কাজ চলছে। বর্ষা শেষে পুরোদমে সংস্কার শুরু করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরমুখী প্রায় সবসড়কের অবস্থা নাজুক। ভাঙ্গাচোরা সড়কে ভারী যানবাহন চলাচাল করায় অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত টোল রোডে ব্যাপক খানাখন্দ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অনেক অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন অংশে পিচ উঠে গেছে। তাতে পানি জমে গর্ত আরো বড় হচ্ছে। কার্ভাডভ্যান চালক মো আমীর হোসেন বলেন, বন্দর থেকে গাড়ি নিয়ে বের হলেই জটে আটকা পড়তে হচ্ছে। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ভাঙা সড়কে যানজট হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। কিছু এলাকায় নিয়মিত জোয়ারের পানি উঠায়ও সমস্যা বাড়ছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী, চট্টগ্রাম রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম বান্দারবানসহ এই অঞ্চলের সড়ক অবকাঠামো কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব সড়কের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক বিভাগ ও এলজিইজিডির প্রকৌশলীরা জানান, বর্ষা এবং পাহাড়ি ঢলে সড়কের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন চলছে। তবে অনেক এলাকায় জরুরি সংষ্কার কাজ চলমান আছে। ক্ষয়ক্ষতি তালিকা চ‚ড়ান্ত করে বর্ষা শেষে সংষ্কার শুরু করা হবে। তার আগে জনদুর্ভোগ লাঘবে জরুরি সংস্কার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।