পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা শাহজাহান সিরাজ ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে ইতোমধ্যেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অনেকেই গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মুক্তিযুদ্ধের এই অন্যতম সংগঠকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘চলে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শাহজাহান সিরাজ। তাকে বলা হতো চার খলিফার একজন। এই বীর যোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা।’
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন তার ফেইসবুক পেইজে লিখেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী বিএনপি নেতা শাহজাহান সিরাজ ইন্তেকাল করেছেন। মহান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পরিবারকে ধৈর্য শক্তি দান করুন এবং মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন।’
সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম খোকন লিখেন, ‘স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী ও বিএনপির সাবেক নেতা শাহজাহান সিরাজ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)...’
সমবেদনা জানিয়ে শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু লিখেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনকে জানাই আমার গভীর শোক সমবেদনা।’
দোয়া প্রার্থনা করে তাওফিক আলম মারুফ লিখেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মরহুমকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।’
নির্মাতা শাকিল সৈকত লিখেন, ‘শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের ‘চার খলিফা’ বলা হতো শাহজাহান সিরাজ ছিলেন তাদেরই একজন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ তিনি সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব প্রভৃতি ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ স ম আবদুর রব। সেখান থেকেই পরবর্তী দিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১ পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’ (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদায় জাতীয় বীর....’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।