পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশের একমাত্র প্রপার্টি সল্যুশন প্রভাইডার বিপ্রপার্টি তাদের ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস প্রকাশ করেছে যার মাধ্যমে উঠে এসেছে বর্তমানে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার চালচিত্র। এই প্রতিবেদনটি গত ছয় মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিপ্রপার্টি ডটকম-এ ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তালিকাভুক্ত প্রপার্টির সংখ্যা এবং বিপ্রপার্টিতে আসা অনুসন্ধানের সংখ্যার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাড়ি ভাড়া নেয়ার সাথে সাথে প্রপার্টি তালিকাভুক্তির হারও ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রথম দফায় লকডাউন শুরু হওয়ার পর মার্চ মাসের শেষের দিকে এই তালিকাভুক্তির হার কমতে শুরু করে। এর কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি সবার জন্যই নতুন ছিল এবং বেশিরভাগ মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছিলেন যার ফলে সবকিছুতে স্থবিরতা নেমে আসে। কিন্তু মে মাসের শুরুর দিকে আবার ভাড়া বাড়ির চাহিদা বাড়তে শুরু করে এবং জুনে বিপ্রপার্টির ওয়েবসাইটে ভাড়া বাড়ি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এই তথ্য অনুযায়ী, অনেকেই এই মুহূর্তে ভাড়া বাড়ি খুঁজছেন এবং বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানের হার এই বছরের শুরুর দিকের চেয়ে বেশি।
মার্চের শুরুর দিকে যখন দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়, তখন বেশিরভাগ মানুষই ১০০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুটের মধ্যে ২ বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টগুলো খুঁজছিলেন। বিপ্রপার্টির তথ্য অনুযায়ী, যেসব বাড়ির ভাড়া ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেগুলোই বেশি খোঁজ করা হয়েছে।
বিপ্রপার্টির প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ২০২০ সালে যে সকল এলাকায় বাড়ি ভাড়া সবচেয়ে কম সেগুলো হলো- শ্যামপুর (৮,০৮৬ টাকা), খিলক্ষেত (১১,৩৮৬ টাকা), মানিকনগর (১২,৪২৭ টাকা), কাফরুল (১৪,৮৬৪ টাকা), দক্ষিণ খান (১৫,২৩৩ টাকা), আগারগাঁও (১৫,৮২৯ টাকা), হাজারীবাগ (১৫,৯১৮ টাকা)।
বিপ্রপার্টির তথ্যমতে, বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে উপরোক্ত এলাকাগুলোর চাহিদা বাড়লেও উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক এবং মোহাম্মদপুর এখনও গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। এই এলাকাগুলো ২০২০ সালের ভাড়া বাড়ির মোট চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশ পূরণ করছে।
এই প্রতিবেদন সম্পর্কে বিপ্রপার্টির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক নসওয়ার্দি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন প্রপার্টি ভাড়া খাতে এত পরিবর্তন তা সহজেই বোধগম্য। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারি এই শহরে বসবাসরত প্রায় সবার জীবনযাত্রার উপরেই প্রভাব ফেলেছে। অনেকেই তাদের জীবনযাত্রার খরচ কমাতে অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ার বাড়িতে উঠছেন। তাই গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা প্রত্যেককে তাদের কাঙ্খিত বাড়ি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।