পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা শনাক্ত ও চিকিৎসা বিষয়ে জেকেজি ও সাহেদের দুর্নীতি ও প্রতারণা সরকারই উদ্ঘাটন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর কোনোটিই পত্রিকার রিপোর্ট বা অন্য কেউ অভিযোগের আঙ্গুল তোলার পরে নয়, সরকার নিজেই এখানে অনিয়ম খতিয়ে দেখার প্রেক্ষিতেই বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
গতকাল সোমবার সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী জানান, জেকেজি’র প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, সাহেদের দু’টি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে, মামলা হয়েছে।
সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে পারবে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে। এরপর নানাজনে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন, বিএনপিও মুখ খুলছে। কিন্তু এগুলো সরকারই উদ্ঘাটন করেছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এদেরকে সংশ্লিষ্ট করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরো সতর্ক হওয়ার অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা ছিল। ড. হাছান বলেন, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হবার পরপরই মুজিববর্ষের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা ও আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে যা যা করা প্রয়োজন সবকিছুই সরকার শুরু থেকেই করে এসেছে এবং মানুষের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিবানিশি কাজ করে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিএনপি’র বিরূপ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে বলে বসেন, সরকারের উদাসীনতার কারণে বানের পানি এসেছে আমি সেই শঙ্কার মধ্যেই আছি। মন্ত্রী বলেন, বন্যার ক্ষেত্রেও সরকার ইতোমধ্যেই অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিএনপি শুধু ঘরের মধ্যে বসে বসে মায়াকান্না দেখায়, কিন্তু জনগণের জন্য সাহায়্যের হাত প্রসারিত করে না। তাদের রাজনীতিটা হচ্ছে টেলিভিশন আর সংবাদ সম্মেলন কেন্দ্রীক। এর বাইরে তাদের আর কোনো রাজনীতি নেই।
এসএসসি পাস সাহেদ কিভাবে পত্রিকার ডিক্লারেশন পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পত্রিকার ডিক্লারেশন ডিসি অফিস থেকে নিতে হয় এবং ডিক্লারেশন পাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাহেদ পত্রিকার ডিক্লারেশন নিলেও সেই পত্রিকা বের করেছে কি না, সেটি ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর) খতিয়ে দেখছে। এক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে আমি মনে করি, একজন প্রতারকের হাতে পত্রিকার ডিক্লারেশন থাকবে কি না- সেটি বিবেচনায় নেয়া জরুরি।
অনলাইন সংবাদ পোর্টালের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, আমরা অনলাইনগুলোর রেজিস্ট্রেশন দেয়ার উদ্যোগ এই মার্চ মাসেই নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে সেটি স্থগিত ছিল। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা শিগগিরই রেজিস্ট্রেশন দেবো। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর যেগুলোর বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে, সেগুলোর ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।