Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজারে ভালো দাম, সরকারকে ধান দিচ্ছে না কৃষক

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

নাটোরের লালপুরে সরকারিভাবে বোরো ধান সংগ্রহের পার হয়েছে দুই মাস। করা হয়েছে লটারী তারপরও কৃষকদের থেকে ধান নিতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১৩২ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য বিভাগ।
এবার ধানের বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় কৃষক সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। দেশে নিরাপত্তা মজুদ বৃদ্ধির স্বার্থে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই খাদ্য বিভাগ বা প্রশাসনের। সরকার শেষ পর্যন্ত ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে না পারলে মূল্য দিতে হবে ভোক্তাসাধারণকে।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে, বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এই সকল জমি থেকে ৬হাজার ১১২ মেট্রিকটন ধান ও ৪হাজার ১৬০ মেট্রিকটন চাউল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
লালপুর উপজেলা খাদ্য গোডাউনের কর্মকর্তা ওসি এলএসডি রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৪ লাখ ৩২ হাজার টাকায় ১৩২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত কৃষকের থেকে কোন ধান পায়নি খাদ্য বিভাগ। সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা কেজি দরে প্রতিমণ ১৪৪০ টাকা দাম বেধে দিয়েছে । কিন্তু বাজারে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক সরকারের কাছে ধান বিক্রি করছে না।
উপজেলার নবীনগর এলাকার ধান চাষী সাহাবুল ও দক্ষিণলালপুর এলাকার চাষী লুৎফর বলেন, প্রতি বছর গুদামে ধান দিতে গেলে আদ্রতা না থাকার কথা বলে আমাদের ধান নিতো না। আগে ধান বিক্রি হতো না বলে লটারীর মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা করতাম। এবছর আমাদের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে আর বাজারে ধানের দামও ভালো। তাই এবার ধান বিক্রি করে লাভ হচ্ছে
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালাউদ্দিন বলেন, বোরো সংগ্রহের সময়সীমা আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত থাকলেও শেষ পর্যন্ত খাদ্য বিভাগ লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ভোক্তাদের ধারণা বড় ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা মজুদ গড়ে তোলার মাধ্যমে যে কোনো পরিস্থিতিতে সঙ্কট তৈরি করে চালের দাম বাড়াতে পারেন।
কোনো ব্যবসায়ী বা আড়ৎদার যেনো ধান মজুত করে চালের সঙ্কট সৃৃষ্টি না করতে পারে তার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন লালপুর উপজেলা নির্র্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ