পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দলের ভিতরে বর্ণচোরা সেজে যারা অর্থসম্পদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন, জনগণের বুকের গভীরে রয়েছে এর শেকড়। দলে এসে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ভাগ্য বদলাতে দেওয়া যাবে না। দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীদের পেছনে রেখে, আওয়ামী লীগে আশ্রয়ী, লোভী, ষড়যন্ত্রকারীদের দলে আর সুযোগ নেই।’
আজ সোমবার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক আনলাইন ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারি দলে সবসময় কিছু আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে, কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। দলে এসে দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভাগ্য বদলাতে আওয়ামী লীগ কখনো কাউকে সুযোগ দেয়নি। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার মোটেই কার্পণ্য করে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেওয়া লোভী ও ষড়যন্ত্রকারীদের আর সুযোগ নেই। যারা দলের ভেতর বর্ণচোরা হয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, নিজের সহায় সম্পত্তির গোছানোর চেষ্টা করবে অনিয়ম করে। তাদের সর্তক করে দিচ্ছি এমন অপকর্ম আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। আমরা আওয়ামী লীগের অর্জন নস্যাৎ হতে দিতে পারি না। দুর্বৃত্তদের কোনো দল নেই, তাদের নেই দলীয় পরিচয়। যারা অপরাধী, অপরাধীর অপরাধকেই বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। শেখ হাসিনা সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কাজে অনিয়মসহ এবং স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রম শুদ্ধি অভিযানের অংশ। অন্যান্য খাত বিশেষ করে যেখানে অনিয়ম দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থানে সরকার।
বিএনপি সরকারে থেকে দুর্নীতি সাম্প্রদায়িকতা নানা অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল দাবি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে নানাভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পুনর্বাসিত করেছিল তারা, তাদের মুখে অনিয়মের কথা বলা মানায় না। আমরা এখন জনগণকে বাঁচাবার লক্ষ্যে সর্বঠত্মক কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে ক্ষেত্রে বিশেষে সীমিত করে জনগণের দুর্দশা কমানো, সংক্রমণ রোধ জীবিকা নিরাপত্তা বিধানকে রাজনীতি হিসেবে বেছে নিয়েছি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার সুচিন্তিত সহযোগিতা চায়। বিএনপি অসহায় জনগণের পাশে না থেকে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা অসহায়ত্ব তাদের চোখে পড়ে না। মানুষের কল্যাণে সরকারের নিরলস প্রয়াস তারা দেখতে পায় না। সার্কাসের হাতির মতো নেতিবাচকাতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া চিরাচরিত মিথ্যাচারে ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি। জনগণ আর এখন মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন রাজনীতি হবে মানুষকে বাঁচানোর বৈশ্বিক সংকট করোনা প্রতিরোধ করা। বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট। তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বে, তাদের মিথ্যাচার আর নেতিবাচক রাজনীতি বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে। সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।