পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাফিজিয়া মাদরাসা এবং হিফজখানাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষা কার্যক্রম আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে। বাদ ফজর করোনা মহামারী থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মাদরাসায় ছাত্রদের সবক দেয়া শুরু হয়। মাদরাসায় আগত ছাত্রদের অনেকেই ওস্তাদদের কাছে বলেছেন,করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মাদরাসা বন্ধ থাকায় কুরআনের পেছনের পারাগুলো ভুলে গেছে। এতে হিফজখানার শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছে।
উত্তর যাত্রাবাড়িস্থ তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম আন্তর্জাতিক খ্যাতীসম্পন্ন ক্বারী নাজমুল হাসান আজ রোববার ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। উক্ত মাদরাসার গেইটে আগত ছাত্রদের জ্বর আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে ক্বারী নাজমুল হাসান বলেন, হিফজখানার ছাত্রদের মাদরাসা থেকে বের হতে দেয়া হয় না। সার্বক্ষণিক সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তদারকিতেই শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর উল্লেখিত মাদরাসাটিতে ১১শ’ ছাত্র হিফজখানায় অধ্যায়ন করছে। তিনি বলেন, আজ প্রথম দিনে ১৩০ জন ছাত্র হিফজখানায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকি ছাত্ররা পর্যায়ক্রমে মাদরাসায় আসবে। ষাট জন শিক্ষকের মধ্যে বিশ জনকে মাদরাসায় আনা হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহার পর ছাত্রদের সংখ্যা দেখে বাকি শিক্ষকদের মাদরাসায় আনা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে হিফজুল কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ ছিল। এতে হিফজখানার ছাত্র ছাত্রীরা পবিত্র কুরআনের ইয়াদ হারিয়ে ফেলতে ছিল।
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে সকল হাফিজিয়া মাদরাসা এবং হিফজখানার শিক্ষা কার্যক্রমে নিরবিচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে এর কার্যক্রম চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে গত ৮ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে ১২ জুলাই থেকে হাফিজিয়া মাদরাসা ও হিফজখানার শিক্ষা কার্যক্রম চালুর নির্দেশনা জারি করা হয়। এ সকল হাফিজিয়া মাদরাসা বা হিফজখানার কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে হিফজখানা খুলে দেয়ার নির্দেশনা জারি হওয়ায় বিভিন্ন মাদরাসার পরিচালনা কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য রেজ্যুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর নেয়া হয়। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালক (সমন্বয় বিভাগ) মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হাফিজিয়া মাদরাসা চালু প্রসঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি তদারকি করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা শিক্ষক ও কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী বড় কাটারা মাদরাসার মুহতামিত মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী ইনকিলাবকে বলেন, হিফজখানার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম আজ রোববার ভোর থেকে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মোতাবেক মাদরাসায় বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।