পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ভুটানে এবার ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমিন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের দ্বিতীয় ধাপের কাজ পেয়েছে বাংলাদেশি সফটওয়ার কোম্পানি দোহাটেক নিউ মিডিয়া। গত মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী থিম্পুতে এ সেবার উদ্বোধন করে দেশটির অর্থমন্ত্রী ল্যেনপো ন্যামগে টিশ্যারিং। শনিবার (১১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় ভুটানের ই-জিপির পরিচালক কেস্যাং ডেমি তার দেশের সকল স্টোকহোল্ডারদের জন্য এ সিস্টেমের উপকারিতা ও এর সুবিধাগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি গুরুত্ব এ সংস্কার প্রক্রিয়ায় যেসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন তাও তুলে ধরেন তিনি।
দোহাটেক নিউ মিডিয়া মূলত তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান। যা এতদিন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেনাকাটা ও ভেন্ডর হিসেবে কাজ করে আসছিল। এখন থেকে ভুটান সরকারের ই-জিপি সিস্টেমেও কাজ করবে এ কোম্পানি। সিস্টেমটি ভুটানে আইটি খাতকে কাজে লাগিয়ে সরকারি কাজের পরিধিকে আরো বিস্তৃত করবে।
ই-জিপিতে প্রায় সবধরনের ইলেক্ট্রনিক আহরণ মডিউলগুলো সিস্টেমে রয়েছে। এ সফটওয়্যারটি অনলাইনে নিলাম আহ্বান থেকে শুরু করে পরিপূর্ণভাবে নিলামের মূল্যায়ন করতে পারবে।
২০১৭ সালে প্রথম ভুটানে ই-জিপি যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই এর বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে আসছে দেশটির জনসাধারণ। এর আগেও নেপালেও ই-জিপি সিস্টেমে চালুর সময়ও চালু হয়।
মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান লুনা শামুসদ্দোহা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে ই-জিপি সিস্টেমের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এমআইএস এবং ই-জিপি সিস্টেমের বাস্তবায়নে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। ১৯৯২ সালে পল্টন লেনে মাত্র দু’জন কর্মী নিয়ে দোহাটেকের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে শত শত মেধাবী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন।
শুরুতে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করে দোহাটেক। এক সময় ডব্লিউএইচও, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের হয়েও এই কাজটি করে তারা। বর্তমানে তাদের কর্মপরিধি প্রসারিত হয়েছে আমেরিকা, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্স তৈরির ক্ষেত্রে ‘দোহাটেক’ অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারাই ভোটার এনরোলমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করে, যে ধারাবাহিকতায় সবার জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ এ দেশে সম্ভব হয়েছে। ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপিতেও দোহাটেকের অবদান অসামান্য।
বাংলাদেশ সরকারের এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন ফর দ্য পুওরেস্ট (ই-জিপিপি) প্রকল্পের এমআইএস সিস্টেমেও দোহাটেকের অবদান রয়েছে।বরোধ করে রেখেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।