পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়ায় দেশের ২০ থেকে ২৪টি জেলায় আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাকবলিত জেলাগুলোর ডিসিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশনা পেয়ে বন্যা মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছেন ডিসিরা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বন্যাকবলিত জেলার জন্য নগদ টাকা ও খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন।
গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, ফরিদপুর ও সিলেটসহ ১২ জেলায় ইতোমধ্যে বন্যা এসে গেছে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়লে দেশের ২০ থেকে ২৪টি জেলায় বন্যা দেখা দেয়। এবারও এই চারটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে বলে আগেভাগেই জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এবার আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই ২০-২৪টি জেলার পাশাপাশি আরও ২৩টি জেলা নতুনভাবে বন্যাকবলিত হবে। এগুলো হলো রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ। এসব অঞ্চলের জমির ফসল নষ্ট হওয়া এবং মাছের ঘের জলে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। সবচেয়ে বেশি শঙ্কায় রয়েছে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর খামারিরা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ থেকে চলতি সপ্তাহে উল্লিখিত জেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিতে পারে। এসব জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। যদিও এই মূহূর্তে অনেক জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টি হলে নদীর পানি বাড়তে সময় লাগবে না। আর পানি বাড়লেই মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে পারে। এবার ২০ থেকে ২৪টি জেলা নতুন করে প্লাবিত হবে। এই বন্যার স্থায়ীত্ব দীর্ঘায়িত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সেজন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি ডিসি কার্যালয়গুলো যেন বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখে। আশ্রয়কেন্দ্রে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।