পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক মাসেও কার্যকর হয়নি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব পোর্টাল ‘মাইকোর্ট’।তাই পোর্টালটি কার্যকরের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন এক আইনজীবী। আবেদনে জানানো হয়,ওয়েব পোর্টালটির মাধ্যমে ভার্চুয়াল আদালতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।এ কারণে পোর্টালটিকে অনেক আইনজীবী ‘সুন্দর পদ্ধতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট আতিউর রহমান এ সম্পর্কে বলেন,এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। অনলাইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে ট্র্যাকিং নম্বর পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী মামলাগুলো যথানিয়মে কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। অথচ এই সিস্টেমটি কার্যকর না করে ই-মেইলের মাধ্যমে মামলা নেয়া হচ্ছে। এতে মামলা কার্যতালিকায় তোলা নিয়ে দুর্নীতি করার সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান বলেন,আমরা সবাই সংশ্লিষ্ট কোর্টের বিচারপতির কাছে মেইল করি। মাইকোর্ট পোর্টালে আবেদন করতে গেলেও কোনো সমস্যা হয় কি-না তাই আমরা সরাসরি কোর্টেই আবেদন করছি। অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল বলেন,আমরা মাইকোর্ট পোর্টালে আবেদন করি না। সেখানে কিছু জটিলতা রয়েছে। ‘মাইকোর্ট’ এখনও কার্যকর নয়, অভিযোগ করে অ্যাডভোকেট শিকদার মাহমুদুর রাজী বলেন, অনেকবার চেষ্টা করেও ‘মাইকোর্ট’ ব্যবহার করে মামলার ফাইল করতে পারিনি। তবে এ বাস্তবতার মধ্যেই ‘মাইকোর্ট’ কার্যকর করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
আবেদনে তিনি বলেন, গত ৯ জুন সুপ্রিম কোর্ট থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘মাইকোর্ট’ ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করার কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তির আলোকে এই ওয়েব পোর্টালে অ্যাকাউন্ট তৈরি করি। ‘মাইকোর্ট’ পোর্টালে মামলা ব্যবস্থাপনা ছিল ব্যবহার উপযোগী ও জবাবদিহিতামূলক। মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক ট্র্যাকিং নম্বর ও ভিসি নম্বর পাওয়া যেত। পরে এই ট্র্যাকিং নম্বর অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আদালতের কার্যতালিকায় মামলাটি প্রদর্শিত হওয়ার ব্যবস্থা ছিল। আমরা নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে মামলার গতিবিধি নির্ণয় করতে পারতাম।
তবে ‘মাইকোর্ট’ পোর্টালের মাধ্যমে মামলা করে ট্র্যাকিং নম্বর পেলেও এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও পোর্টালে দায়ের করা কোনো মামলা আদালতের কার্যতালিকায় আসেনি বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী শিশির মনির। তবে ‘মাইকোর্ট’ কার্যকর না হওয়া নিয়ে আইনজীবীদের অভিযোগ অস্বীকার করেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। যেদিন থেকে প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, সেদিন থেকেই এটি কার্যকর। উল্লেখ্য, ভার্চুয়াল হাইকোর্টে যারা মামলা পরিচলনা করতে চান তাদের ‘মাইকোর্ট’ ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে গত ৯ জুন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ১১ জুন এই বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।