Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিজেন্টের মালিক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট প্রদানকারী রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ৭ জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে করোনা রোগীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. শাহেদসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামছে দুদক। গতকাল আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরের আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর গাজী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান। রিমান্ডে দেয়া আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব, হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবিব, হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, গাড়িচালক আবদুস সালাম এবং হাসপাতালের কর্মী আবদুর রশিদ খান জুয়েল। কামরুল ইসলাম নামে এক আসামি শিশু হওয়ায় তাকে গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করে র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দন্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, হাসপাতালকর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব, হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, ড্রাইভার আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।
এদিকে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান তথা প্রতারণার মাধ্যমে করোনা রোগীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের মালিক মো. শাহেদুল করিম শাহেদ এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নামছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই তাদের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র। এ বিষয়ে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব ভট্টাচার্য গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, করোনা কালে সংঘটিত দুর্নীতির বিষয়ে কমিশন শূন্য-সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করছে। এই ধারাবাহিকতায় রিজেন্ট হাসপাতালের ঘটনাও দুদকের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ