Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাসীদের মাঝে ১১ কোটি টাকার ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রী বিতরণ করেছি: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম | আপডেট : ১:৫৫ পিএম, ৮ জুলাই, ২০২০

সরকার মানবপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির মুখোমুখি করা হয়েছে। অন্যদেরও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আজ বুধবার (৮ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এর আগে সাত দিন বিরতির পর সকাল ১১টায় সংসদের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ-এর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি কর্মীরা যাতে করোনা পরবর্তী সময়ে পুনরায় কাজে নিয়োগ পেতে পারে, সেজন্য বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই অন্তর্বর্তী সময়ে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনের শ্রমকল্যাণ শাখার মাধ্যমে আমরা দুস্থ ও কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসী কর্মীদের মাঝে প্রায় ১১ কোটি টাকার ওষুধ, ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রী বিতরণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে চাকরিচ্যুত হয়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে বিদেশফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছি। এছাড়া, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের এবং প্রবাসে করোনায় মৃত কর্মীর পরিবারের উপযুক্ত সদস্যকে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে বিনিয়োগ ঋণ প্রদানের জন্য আমরা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছি। এ সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শুধুমাত্র বৈধ ও নিবন্ধিত অভিবাসী মৃত কর্মীর পরিবারকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে এর তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমানে করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নির্বিশেষে সকল প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য আমরা তিন লাখ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। তবে এ চাপ প্রশমিত করার জন্য আমাদের সরকার বিভিন্নমুখী কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।



 

Show all comments
  • রহমান ৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৪ পিএম says : 0
    সব ফাপরবাজি এতো দালালি বেশিদিন থাকে না শুধু সময়ের অপেক্ষায় থাকো প্রবাসিরা না খেয়ে মরতাছে আর মুখে সব ফাকা বুলি
    Total Reply(1) Reply
    • Mohammed Shah Alam Khan ৮ জুলাই, ২০২০, ৮:৩৪ পিএম says : 0
      "প্রবাসীরা না খেয়ে মরতাছে" আপনার এইক্থার সাথে আমি একমত পোষন করি। প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশের মিশন যেভাবে বলে তিনি সেভাবেই বলেছেন কিন্তু আসল চেহারাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিদেশের মিশনগুলো যেহারে ডলার পেকেট করে সেটা দেশে বসে কল্পনাও করা যায়না। একবার যদি কেহ ৩ বা ৫ বছরের জন্যে বিদেশের মিশনে আসতে পারে তাহলে তাঁর সারা জীবনের কামাই হয়ে যায়। তিনি চাইলে দেশে আসার পর আর কোন কাজ করার দরকার হয়না। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের কূটনৈতিকদের সত্য কথা বলা ও সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ