পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উত্থাপিত রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০ এর খসড়া প্রস্তাবনা সম্পর্কে ৮দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি। গতকাল এই সুপারিশ নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিত ভাবে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সুপারিশে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির এক ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে দেশে রাজনৈতিক দলসমূহের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা যখন প্রায় বন্ধ ও সংকুচিত তখন গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ চরম দায়িত্বহীনতা ও অবিবেচনা প্রসূত। কারণ এসব বিষয়ে মতামত গঠনের জন্য যে ধরনের স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন তা এখন অনুপস্থিত। আরো বলা হয়েছে, জাতীয় জীবনে একটি অস্বাভাবিক দুর্যোগের মধ্যে যেরকম দ্রæততার সাথে এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকার ও সরকারি দলকে আরো খুশি রাখতে ও বাড়তি রাজনৈতিক সুবিধা দিতে আইন সংশোধনের এত তড়িঘড়ি কিনা রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মধ্যে এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও সৃষ্টি হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সকল স্তরের কমিটিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তভর্‚ক্ত করার বিধান কোন রাজনৈতিক দলই কার্যকরি করতে পারেনি। এখন নির্বাচন কমিশন এখন এই বাধ্যবাধকতা থেকে সরে আসতে চাইছে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নারীদের ৩৩ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় কমিটির জন্য ৫ বছর ও নিম্নস্তরের কমিটির জন্য ১০ বছর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এই বিধান সংশোধন করা প্রয়োজন।
সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, সমগ্র নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কালো টাকা, পেশীশক্তি, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও প্রশাসনিক ‘ম্যানিপুলেশনে পর্যবসিত হয়েছে। এ থেকে বেরিয়ে এসে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনায় কার্যকরী কিছু নেই। সাপ না মেরে নির্বাচন কমিশন দড়ি ধরে টানাটানি করছেন। তাই করোনা দুর্যোগের কারণে অনতিবিলম্বে (আরপিও) আইন সংশোধনের বিদ্যমান তৎপরতা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরাসরি ও খোলামেলা আলোচনা না করে আইন সংশোধনের কোন সুযোগ নেই। জরুরি মনে করলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বা অনলাইনে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশন সংলাপ বা পরামর্শ সভার আয়োজন করতে পারে বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।