Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেপরোয়া গতিতে দুই জেলায় ঝরল ১২ প্রাণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিআরটিসি বাসের চাপায় ৭ ও ময়মনসিংহে ৫ জন। এসময় ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত :
দিনাজপুর অফিস জানায়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিআরটিসি বাসের চাপায় চার্জার ভ্যানের ৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ২ টার দিকে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের বীরগঞ্জ উপজেলার পচিশ মাইল নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলের স্থানীয় লোকজন জানায় বিআরটিসি বাসটি দ্রæত গতিতে আসছিল। দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তার বাক নেয়ার সময় বাসটি গতি কমানো হয়নি। এসসময় অপরদিক আসা একটি ব্যাটার চালিত ভ্যানকে বাসটি চাপা দিয়ে রাস্তার পার্শ্বে গাছের সাথে ধাক্কা খায়। ভ্যানের সকল যাত্রীসহ ভ্যানটি বাসের নীচে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
চম্পাতলী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ নুর হোসেন জানান, দুপুরে ২৫ মাইল বাজারে চলন্ত চার্জার ভ্যানকে পিছন থেকে পঞ্চগড় মুখী একটি বিআরটিসির বাস চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আসমা খাতুন (৪৫) তার স্বামী আবুল হোসেন (৫০) ও নাতনি লামিয়া (৮) মারা যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে এবং পওে আসমার বোন নাসরিন (৪০) ও তার মেয়ে রুপা (৮) এবং নার্গিস (৫০) মৃত্যুবরণ করে। এছাড়াও ভ্যান চালক নিহত হলেও তার নাম জানা যায়নি।
বীরগঞ্জ উপজেলার দেবীপুর ও ভাবকি গ্রামের বাসিন্দা পরিবারের মেয়েরা একই উপজেলার মোহাম্মাদপুর ইউনিয়নের রনপাড়া গ্রামে তাদের অসুস্থ বাবা আখিরউদ্দিনকে দেখতে যাচ্ছিলেন। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দূর্ঘটনার পর প্রায় দুই ঘন্টা দিনাজপুর –ঠাকুরগাঁও সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকার পর পুলিশ যেয়ে জনতাকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরো ৩ জন। গতকাল ভোরে এবং গত রোববার দিবাগত রাতে পৃথক দু’টি স্থানে এসব সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম বইছে।
নিহতরা হলেন- জামালপুরে ইসলামপুর উপজেলার সহোদর জয় মোর্শেদ তুষার (৩২) ও জাবের মোর্শেদ আকাশ (৩০), নান্দাইল উপজেলার অটো চালক হানিফ মিয়া (২২), কেন্দুয়া উপজেলার নয়ন মিয়া এবং একই এলাকার আরিফ মিয়া (২৫)।
ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁিিড়র ইনচার্জ মো. হাদিউল ইসলাম জানান, ভোরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান এবং প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান জামালপুরে ইসলামপুরের কৃষিবিদ মঞ্জুরুল মোর্শেদের ছেলে জয় মোর্শেদ তুষার (৩২)। পরে নিহতের ছোট ভাই জাবের মোর্শেদ আকাশ (৩০) কে আহত অবস্থায় ভালুকা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর সেও মারা যায়।
নান্দাইল থানা পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে নান্দাইল উপজেলার চকমতি এলাকায় গরু বোঝাই ট্রাকের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালক হানিফ মিয়া ও আরোহী আরিফ মিয়া নিহত হয়। এ সময় নয়ন মিয়া নামের আরেক আরোহী গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মারা যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ