পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন হাসপাতাল/চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েক হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে। রোববার (৫ জুলাই) অবস্থান ধর্মঘটে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারনে বয়সোত্তীর্ণ বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বয়স প্রমার্জনা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ২০ হাজার বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে অবিলম্বে নিয়োগ, মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অবিলম্বে চালুকরণ, স্বেচ্ছাসেবক/অস্থায়ী ভিত্তিতে/মাস্টাররোলের মাধ্যমে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পদে নিয়োগ বন্ধ করা, সুপ্রিমকোর্টের আদেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট বাস্তবায়ন এবং কারিগরি সংশ্লিষ্টদের মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাশকরাদের স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ না দেয়া, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের স্থায়ী নিয়োগের সুপারিশের আলোকে ১৪৫ জনের নিয়োগপত্র বাতিল এবং এ অনিয়মের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তাদের দাবিসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন না হলে জরুরি সেবা অব্যাহত রেখে আগামী ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার ১১ থেকে ১ টা পর্যন্ত সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে দুই ঘন্টার কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদেরকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করছে না এমনকি অনেকাংশে তাদের কাজেরও স্বীকৃতি প্রদান করছে না।
এক যুগেও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্টের চাকরিতে প্রবেশের বয়স চলে গেছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ কখনোই আন্তরিক ছিলো না বলে তারা অভিযোগ করেন। অপরদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগবিধি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে অযোগ্যদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন। বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদাসীনতার কারণে হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
অবস্থান ধর্মঘটে সভাপতিত্ব করেন বিএমটিএ’র সভাপতি মো. আলমাছ আলী খান। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশাররফ হোসেন খান, জহিরুল ইসলাম সরকার, সেলিম মোল্লা, আব্দুর রব, আওলাদ হোসেন খান, মহব্বত হোসেন খান, সমীর কুমার বেপারী, জাহিদুল ইসলাম শাহিন, শফিকুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম শিবলী, সিরাজুল ইসলাম, মাহবুব হাসান, শহিদুল ইসলাম, তাহমিনা, ইকরা, রাজিবুল হাসান রাজা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।