পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে আজ শনিবার (৪ জুলাই) থেকে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে করোনা সেন্টারে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও রোগী ভর্তি কার্যক্রম। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৮ জন রোগী এসেছেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসককের পরামর্শ অনুযায়ী ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিন ৩টি শিফটে ৬০ চিকিৎসক, ১০০ জন নার্স এবং সংশ্লিষ্ট প্যারামেডিক্স, ওয়ার্ডবয়, এমএলএসএসসহ ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ২৬০ জন জনবলের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী টিম রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ২৬০ জন প্রথম এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান করবেন এবং পরবর্তী সপ্তাহে অন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে গঠিত নতুন টিম রোগীদের সেবা প্রদান করবেন। এর আগে শনিবার সকালে কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টার চালুর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩৭০ শয্যার মধ্যে ‘কেবিন ব্লকে’ শয্যার সংখ্যা ২৫০টি এবং ‘বেতার ভবনে’ শয্যার সংখ্যা ১২০টি। ‘কেবিন ব্লকে’ ২৫০ শয্যার মধ্যে ইমার্জেন্সি রোগীদের জন্য রয়েছে ২৪টি শয্যা এবং আইসিইউ শয্যা সংখ্যা হল ১৫টি। কেবিন ব্লকে ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট’ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাইফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা, নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর, যেমন- সি-প্যাপ, অক্সিজেন কনসানট্রেটর ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি শয্যায় রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্টসহ অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধাসমূহ। মূলত গুরুতর অসুস্থ রোগীরাই এখানে ভর্তি হবেন। অন্যদিকে, বেতার ভবনের ১২০ শয্যায় ভর্তি হবেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মডারেট রোগাক্রান্ত রোগীরা।
এছাড়া ‘কেবিন ব্লক’ ও ‘বেতার ভবনে’ করোনা সেন্টার চালুর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার সভাপতিত্বে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সসহ সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে অনুষ্ঠিত সফল সভাসমূহে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং করোনা সেন্টারের চিকিৎসাসেবা প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এ ধরণের নির্দেশনামূলক ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা ভিসি’র নেতৃত্বে চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।