পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ছবি তুলতে গিয়ে আনসার সদস্যদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই ফটো সাংবাদিক। গতকাল দুপুরে হাসপাতাল চত্ত¡রে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক জয়িতা রায় ও দেশ রূপান্তরের ফটো সাংবাদিক রুবেল রশীদ।
তারা জানান, মুগদা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়ানো রোগীকে মারধরের ছবি তুলতে যাওয়ায় তাদের ওপর হামলা চালায় আনসার সদস্যরা। এ সময় তাদের ক্যামেরাও ভেঙে দেয়া হয়। হামলার শিকার জয়িতা রায় বলেন, হাসপাতালে রোগী সিরিয়ালের অনিয়মের ছবি তুলছিলাম। এসময় সিরিয়াল ব্রেক করায় এক রোগীর সঙ্গে আনসার সদস্যের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এক আনসার রোগীর আত্মীয়ের জামার কলার ধরে হাসপাতালে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি তখন ছবি তুললে সেই আনসার হামলা চালায়। এসময় রুবেলের ক্যামেরার লেন্সের ফিল্টার ভেঙে যায়।
আনসারদের হামলার শিকার আরেক ফটো সাংবাদিক রুবেল রশীদ বলেন, হাসপাতালে করোনা টেস্টের জন্য ৪০ জনকে টিকিট দেয়া হয়। কিন্তু ৩৪ জনের পরীক্ষা করেই আনসার সদস্যরা বলেন পরীক্ষা শেষ। তখন ৩৬ নম্বর সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা শাওন হোসেন নামের এক যুবকের সঙ্গে আনসার সদস্যদের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে আনসাররা তার গায়ে হাত তোলেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনার ছবি তুলতে যান বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক জয়িতা রায়। এসময় আনসার সদস্যরা তাকে থাপ্পড় দিতে এলে জয়িতা সরে পড়েন। এরপর ঘটনার ছবি তুলতে আমি এগিয়ে যাই। তখন আনসার সদস্যরা থাপ্পড় মেরে আমার ক্যামেরার ফিল্টার ভেঙে ফেলে। এসময় আনসার সদস্যরা সাংবাদিকদের গালাগাল করতে থাকেন এবং বেঁধে রাখার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা বলেন- এখানে সাংবাদিকদের রংবাজি চলবে না। আমাদের রংবাজি চলবে।
ভুক্তভোগী শাওন হোসেন জানান, নিয়ম অনুযায়ী অন্তত ৪০ জনকে তাদের টোকেন দেয়ার কথা। কিন্তু টোকেন না দেয়ার কারণ জানতে তিনি এগিয়ে যান। যারা টোকেন দিচ্ছিলেন তারা কোনো জবাব না দিয়েই সেখান থেকে চলে যান। তখন আনসার সদস্যদের কাছে তিনি কারণ জানতে চান। তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তার কলার ধরে ভেতরের আনসার ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে লাঠি দিয়ে দুটি বাড়ি দেয়া হয়। একজন আনসার সদস্য তার হাত বাঁধার জন্য রশিও নিয়ে আসেন। পরে মুগদা থানা থেকে পুলিশ আসেন। তারাও ঘটনার জন্য তাকে দায়ী করেন। শেষমেশ তার পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা লিখে নিয়ে যান। এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলার জন্যও শাসানো হয় তাকে।
মুগদা জেনারেল হাসপাতাল আনসার ক্যাম্পের সহকারী কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা করাতে না পেরে ছেলেটি তাদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলছিলেন। তখন সেখানে উপস্থিত একটি সংস্থার সাদা পোশাকের সদস্য ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যেতে বলেন। তারা সেই কাজটিই করেছেন। পরে মুগদা থানার একজন উপপরিদর্শক এসে ছেলেটির নাম-ঠিকানা লিখে নিয়ে যান। ছেলেটিকে কোনো মারধর করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, অকথ্য ভাষায় কথা বলায় আনসার সদস্যরা একটি ছেলেকে টানাহেঁচড়া করেছেন বলে আমি জানতে পারি। তবে কোনো সাংবাদিককে মারধর করা হয়নি। গালমন্দ করে থাকতে পারেন। তবে গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।