পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে দিচ্ছে বিদেশি একটি চক্র। দীর্ঘদিন ধরে ওই চক্র উপহার দেয়ার নামে এমন প্রতারণা করছে। তবে ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তারা সবাই বিদেশি নাগরিক। গতকাল দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অপরাধ বিভাগের প্রধান ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সোলেমান ওরফে নিগুয়েগাং তেগোমো বারটিন, নিগুয়েনাং তোবোসেরগে ক্রিস্টিয়ান এবং একোঙ্গো এরনাস্ট ইব্রামহিমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন কেনিয়ার নাগরিক ও বাকি দুইজন ক্যামেরুনের নাগরিক। তবে তাদের কারো কাছেই পাসপোর্টের কোনো কপি পাওয়া যায়নি। ধারণা করছি, তাদের ভিসার মেয়াদ নেই। অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো এবং তাদের চক্রে আরো কোনো সদস্য আছে কিনা তাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা অনেক আক্রমণাত্মক। অভিযান চলাকালে তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
সিআইডি ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রতারকরা প্রথমে ফেসবুকে ফেক আইডি এবং নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তারা বন্ধুত্ব তৈরি করেন। এ সুযোগে প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দামি গিফট পাঠান এবং সেটি কাস্টমসে আটকে আছে, ছাড়িয়ে আনতে হবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা চান। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশি কেউ কাস্টমসের কর্মকর্তা অথবা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা কাজে সহায়তা করেন। তবে তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতারক চক্রের গ্রেফতার সদস্যরা নারী সেজে ফেক আইডি ব্যবহার করে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে ফয়সালের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। চক্রের এক সদস্য নিজেকে আমেরিকান হিসেবে পরিচয় দিয়ে আরিফুলকে কুরিয়ার এজেন্টের মাধ্যমে উপহার পাঠাবে বলে জানান। এরপর আরিফুলকে উপহারসামগ্রী পাঠানোর কথা বলে ওই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে নগদ ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সর্বমোট তার কাছ থেকে ২২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা প্রতারণা মাধ্যমে নেয় ওই চক্রের তিন সদস্য।
ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ রেজাউল হায়দার বলেন, যারাই এ ধরনের প্রতারণা করছে তারা সবাই একই গ্রুপের নয়। দু’জন, তিনজন অথবা পাঁচজন করে একেকটি গ্রুপে প্রতারণামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসেছে তারা। তাই নিশ্চিত করে কতগুলো গ্রুপ আছে সেটি বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে গ্রেফতার হওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।