প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : হযরত নবী করিম সা. এর সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় খাদ্যের মধ্যে ছারীদ উল্লেখযোগ্য। ছারীদ বলা হয় গোশতের তরকারীতে টুকরো রুটি মিলিয়ে যে খাদ্য তৈরি করা হয়। গোশতের মধ্যে হুযুর সা. বেশি পছন্দ করতেন খাসীর সামনের রানের গোশত। তরি তরকারীর মধ্যে সর্বাধিক পছন্দের ছিল লাউ। তাছাড়া তিনি দুধ, মধু, খেজুর, সিরকা, পনির ইত্যাদি সবই আগ্রহভরে খেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ খাদ্য হিসেবে দুধের উল্লেখই বেশি পাওয়া যায়। যা একই সাথে খাদ্য এবং পানীয়। প্রিয়নবী সা. খাদ্য সম্পর্কে যেসব আদর্শ রেখে গিয়েছেন তন্মধ্যে মৌলিক কিছু এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে। হুযুর সা. বলেছেন তোমরা ততক্ষণ খাদ্যগ্রহণ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা ভালো রকম ক্ষুধিত হও। যখন খানা খাবে তখন পেটকে তিনভাগে বিভক্ত করে নিও। একটি অংশ খাদ্যের, একটি পানীয়ের, অপর একটি শূন্য রেখো আল্লাহর জিকরের জন্যে, স্বচ্ছন্দে শ্বাস প্রশ্বাসের জন্যে। খেতে বসলে কিছুটা বাকী থাকতেই উঠে পড়। একজনের খানা দু’জনের জন্য যথেষ্ট। দু’জনেরটা যথেষ্ট তিনজনের জন্য, ইত্যাদি নির্দেশনা মেনে চললে একজন মানুষ সাধারণত খাদ্যজনিত কোনো রোগব্যধির শিকার হবে না। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।