পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দেশের বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। তিনি দুই বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আর বেশিরভাগ সময়ই তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে থাকতেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
লতিফুর রহমান স্ত্রী শাহনাজ রহমান, পুত্র আরশাদ ওয়ালিউর রহমান, দুই কন্যা সিমিন হোসেন ও শাহ্জয়েসহ আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার আরেক মেয়ে শাজনীন রহমান ১৯৯৮ সালে গুলশানের বাড়িতে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। ট্রান্সকম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল হোসেন জানিয়েছেন, লতিফুর রহমানের লাশ গতকালই ঢাকায় আনা হয়। গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ এশা তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতেই বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা নিশ্চিত করেছে পরিবার সূত্র।
১৯৪৫ সালের ২৮ আগস্ট জলপাইগুড়িতে লতিফুর রহমানের জন্ম। তিনি ঢাকায় থাকতেন গেন্ডারিয়ায়। পড়াশোনার শুরু সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে। সেখান থেকে ১৯৫৬ সালে শিলংয়ের সেন্ট এডমন্ডস স্কুলে। তারপর কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। ১৯৬৫ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন লতিফুর রহমান। ঢাকায় এসে ১৯৬৬ সালে ডব্লিউ রহমান জুট মিলে ট্রেইনি হিসেবে কাজ শুরু করেন। দেড় বছর কাজ শেখার পর নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন। এভাবে কাজ করেন ১৯৭১ সাল পর্যন্ত।
১৯৭২ সালে তিনি সবকিছু নতুন করে শুরু করেছিলেন প্রায় শূন্য হাতে। নিজের হাতে তৈরি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছেন। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা, সুনাম আর সততার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে তিনি পান বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে নোবেল বলে খ্যাত। লতিফুর রহমান প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকারও অন্যতম মালিক। মিডিয়াস্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেএফসি, পেপসি এবং ফিলিপসের বাংলাদেশে ফ্রাঞ্চাইজির মালিক ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, চার বছর আগে এই দিনে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান লতিফুর রহমানের প্রিয় নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেন। আর সেই একই দিনে তিনিও মৃত্যুবরণ করলেন।
শোক
লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তারা বলেন, তাঁর মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।