পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পাচ্ছেন না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ডিএসসিসির ভাÐারে সুরক্ষা সামগ্রী না থাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এসব পাচ্ছেন না। ফলে রাজধানীকে করোনাসহ অন্যান্য রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখার জন্য যারা কাজ করেন তারাই এখন করোনা ঝুঁকিতে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও নগরীর সড়ক ও বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। অপরদিকে মশক নিধন কর্মীরাও সকাল বিকাল অলিগলিতে ওষুধ ছিটাচ্ছেন। এসব কর্মীদের এখন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে ডিএসসিসির অর্ধশতাধিক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ডিএসসিসির কর্মীরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে তাদেরকে কিছু মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হলেও বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই তারা মাঠে কাজ করছেন। এরই মধ্যে অনেক কর্মী আক্রান্তও হয়েছেন। ফলে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে কাজ করছেন। অপেক্ষাকৃত কম বেতনের কর্মচারীরা তাও পারছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এতে কাজেরও ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দক্ষিণ সিটির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ৬০ হাজার ৭০০টি মাস্ক, ১৭ হাজার জোড়া রাবার গøাভস, ২৯ হাজার ৫০০টি সার্জিক্যাল মাস্ক, তিব্বত (৫৭০) সাবান ৪০ হাজার পিস, স্যাভলন সাবান (এসিআই) ১২ হাজার ৬৪০টি, অন্যান্য সাবান ৭২৮টি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার (এসিআই) ৭৫৬টি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার (যমুনা) ১৫ হাজার, স্যাভলন এক হাজার লিটার, বিøচিং পাউডার ৫০ হাজার কেজি, সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড এক লাখ লিটার সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া সড়ক পরিষ্কারের জন্য নারিকেল শলা ৫ হাজার কেজি, করোনাভাইরাস সচেতনতা লিফলেট তিন লাখ, গামবুট দুই হাজার ৮৫০টি, মপ ক্যাপ ১৫ হাজার, ওয়ার্ম গø্যাভস ৫৪০টি, কে এ ৯৫ মাস্ক ১১০টি, কেএন ৯৫ (৩ এম) মাস্ক ৫০টি, ত্রিপোল ১৫টি, সেফটি ড্রেস ৪০৪টি, হ্যান্ড গøাভস (চায়না) ৪ হাজার ৪৪০ জোড়া, মেডিক্যাল গগলস ১৫০টি, সেফটি গগলস ৭৫০টি, কমফোর্ট হ্যান্ড গø্যাফস (সার্জিক্যাল) এক হাজার জোড়া, মেডিক্যাল হ্যান্ড গøাভস (সার্জিকাল) এক হাজার জোড়া ও সাবান (কেয়া) দুই হাজার ১৬ পিস সংগ্রহ করা হয়েছে।
বর্তমানে এসব পণ্যের মধ্যে শুধু হ্যান্ড স্যানিটাইজার (যমুনা) ৭০টি, বিøচিং পাউডার ৬ হাজার ৫০০ কেজি, নারিকেল শলা তিন হাজার কেজি, গাম বুট ৫০ জোড়া, ওয়ার্ম গøাভস ২০০টি ও মেডিক্যাল গগলস ১০টি মজুত রয়েছে। এর বাইরে অতিপ্রয়োজনীয় কোনও সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই ডিএসসিসির ভান্ডারে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংসে প্রতিদিন পানির সঙ্গে জীবাণুনাশক বিøচিং পাউডার ও সোডিয়াম হাইপো-ক্লোরাইট রাসায়নিক মিশিয়ে গাড়িতে করে নগরীর সড়ক, ফুটপাতসহ জনবহুল এলাকায় ছিটানো হতো। কিন্তু বর্তমানে সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইট রাসায়নিকটি না থাকার কারণে এ কাজটিও বন্ধ রয়েছে।
ডিএসসিসির প্রধান ভাÐার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলামের ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থার সচিব আকরামুজ্জামান বলেন, প্রথম অবস্থায় কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। এখন হয়তো কমে আসতে পারে। কমে গেলে আবার কিনে দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।