পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ঘোষিত ‘রেড জোন’ এলাকায় ঢালাওভাবে ‘লকডাউন’ বাতিল করে স্বাভাবিক চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম বাদী হয়ে এ রিট করেন। গতকাল বিষয়টি জানান তার কৌঁসুলি শেখ ওমর শরীফ। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে বলেও জানান তিনি। রিটে লকডাউন বাতিল করে দেশব্যাপী স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনরায় চালুর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, সরকার স¤প্রতি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন এলাকাকে ঢালাওভাবে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশে প্রচলিত ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’-এর অধীনে কেবল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চলাচল, বসতবাড়ি কিংবা ব্যবহৃত দ্রব্যাদিতে সরকার নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে। অসুস্থ মানুষদের কারণে পুরো এলাকা কিংবা পুরো শহর লকডাউন করার কোনো আইনগত এখতিয়ার সরকারের নেই। তাছাড়া কোভিড-১৯ রোগকে এখনো বাংলাদেশ সরকার উক্ত আইনের অধীনে ‘সংক্রামক ব্যাধি’ হিসেবে ঘোষণাও করেনি। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের নামে সুস্থ-সবল নাগরিকদের সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত পেশার স্বাধীনতা, চলাচলের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের আইনগত কর্তৃত্ব সরকারের নেই।
লকডাউন করোনার মৃত্যুহার থামাতে পারে- এমন ধারণার কোনো প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কারণ সারা বিশ্বে যেসব দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি হারে মৃত্যু হয়েছে তার প্রথম ১০টিতেই লকডাউন হয়েছিল। অন্যদিকে লকডাউন না হয়েও সুইডেন মৃত্যুহারের দিক থেকে ১১তম অবস্থানে আছে। আবার অনেক দেশে লকডাউন তুলে নেয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এ ব্যাপারে গত ২২ মে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দি সান’ পত্রিকায় বিস্তারিত প্রতিবেদন হয়েছে। ‘রসায়নে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মাইকেল লেভিট আরও প্রায় দুই মাস আগেই বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি রোধে বিশ্বব্যাপী জারিকৃত লকডাউন ‘বিশাল ভুল’ ছিল। এতে সমাজের বড় ক্ষতির পাশাপাশি কোনো ধরণের হার্ড ইমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
‘হার্ড ইমিউনিটি হলো এ ধরণের ভাইরাস থেকে রক্ষার একমাত্র বিজ্ঞানসম্মত উপায়। দেশে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে হলে সুস্থ-সবল নাগরিকদের চলাচলের ওপর বেআইনিভাবে আরোপকৃত সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে। তাই ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ অনুসরণে কেবল অসুস্থ ও দুর্বল লোকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাকি নাগরিকদের ওপর থেকে লকডাউনের নামে আরোপকৃত যাবতীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে রিটে আবেদন জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।