Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বদলিকৃতরা নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে বিভাগীয় ব্যবস্থা

কঠোর অবস্থানে এলজিইডি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২০, ১১:২০ পিএম

স্থানীয় সরকারি প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বদলির আদেশ মানছেন না অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। পুরনো কর্মস্থলে থাকতে নানা তদবিরে ঠেকানোর চেষ্টা করছেন বদলির আদেশ। এসব অনিয়মরোধ এবং অধিদফতরের কাজে শৃঙ্খলা আনতে অবিলম্বে বদলিকৃত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকারি প্রকৌশল অধিদফতর। তা না করলে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ জুন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌলী মো. আব্দুর রশীদ খান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এলজিইডির সর্বস্তরের কাজের গতিশীলতা, জনবলের সুষম বণ্টন, ভিন্ন ভিন্ন পদে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও প্রশাসনিক কারণে জনস্বার্থে সদর দফতর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করা হয়ে থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বদলিকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বদলির আদেশ প্রদানকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন ও বাতিলের জন্য বিভিন্ন মহল হতে তদবির করে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি করছেন; যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ পরিপন্থী। এমনকি তাৎক্ষণিক বদলিকৃত (স্ট্যান্ড রিলিজ) কোনও কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীও জারিকৃত বদলি আদেশের নির্ধারিত তারিখে যোগদান না করে বদলির আদেশ বাতিল বা যুক্তিসঙ্গত সময় অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও নতুন কর্মস্থলে যোগদান হতে বিরত থাকেন এবং বদলির আদেশ বাতিলের জন্য আবেদন ও কর্তৃপক্ষের ওপর বিভিন্নভাবে অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি করে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন।
এমতাবস্থায়, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত সকল বদলির আদেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি গ্রহণপূর্বক বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে, এই অধিদফতরের অনেক প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী এবং অন্য কর্মচারীরাও প্রেষণে বদলি হয়ে জেলা পরিষদসহ অন্য স্থানে চলে যান। এমনও দেখা গেছে, একই উপসহকারী তার মূল জায়গা এলজিইডি ছেড়ে প্রেষণে অন্য জায়গায় একাধারে ৯/১০ বছর কাজ করছেন। তাদের শৃঙ্খলায় আনতে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ