পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই লক্ষ্যে সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগও নজরে আসে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনার চেষ্টা আছে সরকারে মাঝে। কিন্তু ভেপিং নিষিদ্ধ করার মতো কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রশংসনীয় উদ্যোগকে ভণ্ডুল করে দিতে পারে।
বাস্তবতা হচ্ছে প্রচলিত ধূমপানের নেশা কমাতে এবং ক্ষতি হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে ভেপিং বা ই-সিগারেট। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গবেষণাতেও এমনটাই দেখা গেছে। আর ভেপিংকে সেই আলোকেই মূল্যায়ন করা উচিত।
প্রকৃতপক্ষে যারা ধূমপায়ী তারা হুট করে ধূমপান ছাড়ার পর মাঝেমধ্যে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। যুক্তরাজ্যের ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক ড. কেইটলিন নটলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ ব্যক্তিরই ধূমপান ছাড়ার পরবর্তী ১২ মাসে পুনরায় ধূমপান শুরুর ইচ্ছে জাগে। তখন ভেপিং সেই পরিস্থিতিতে সফলভাবে সহযোগিতা করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা পাবলিক হেলথ অব ইংল্যান্ড তাদের গবেষণায় পেয়েছে, সাধারণ সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট ৯৫ ভাগ কম ক্ষতিকর। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ধূমপান ছাড়ার জন্য ই-সিগারেট ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের দোকানগুলোতে ই-সিগারেট বিক্রি হচ্ছে।
২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তামাক থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় এই পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হতে হবে। প্রচলিত ভাবনায় কেবল তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রত্যাশিত ফল আসবে বলে মনে হয় না। কারণ এই পন্থায় গেল বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। হুট করে অভ্যাস ছাড়তে হয় না, আবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করে এমন পন্থার কথাও বিবেচনায় নিতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ছাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প হচ্ছে ভেপিং। ভেপিংয়ের মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সফলভাবে ধূমপান ছেড়ে দিচ্ছে। গেল বছরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে এখন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ভেপিং করছে। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ তামাকের সিগারেট বা ধূমপান ছেড়ে দেয়ার জন্য ভেপিং করছে।
ই-সিগারেট খাত নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞদের মতে, সিগারেট ত্যাগ করার অন্যতম উপায় হিসেবে ইউরোপজুড়েও ভেপিং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যুক্তরাজ্য ও কানাডার চিকিৎসকরা ধূমপান ত্যাগের মাধ্যম হিসাবে ভেপিংয়ের পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও ধূমপান ছাড়ার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে ভেপিং। যার মাধ্যমে ২০৪০ সাল নাগাদ দেশকে তামাকমুক্ত করার ভিশন পূরণ সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।