পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুনের রাজনীতেই বিএনপির উত্থান। বিএনপির জন্ম হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে এবং তারাই ক্রসফায়ার-গুম-খুন শুরু করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে বিএনপিনেতা রুহুল কবির রিজভীর এক বক্তব্যের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে বিএনপি নেতা রিজভী দাবি করেন 'ক্রসফায়ার-গুম-খুনে রাষ্ট্র অমানবিক হয়ে উঠছে'।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতি বছর ৩১৭ জনের বেশি ক্রসফায়ারে, গুম হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ সংখ্যা ১৮৭। এটা ঠিক যে, অপরাধীরা অনেক সময় বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। আমাদের দল কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।
খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপি'র উত্থান দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতা নিষ্কন্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে যুক্ত। আর বিএনপি যখন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন, তখনই ক্রসফায়ার চালু করে। অর্থাৎ খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই যাদের উন্মেষ ও প্রতিষ্ঠা, যারা দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল, তারা যখন এধরণের কথা বলে, তখন তা হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এবং করোনা মহামারিতে দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সারাবিশ্বের সামনে মানবিকতার পরম উদাহরণ, উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'বিএনপি এধরণের কোনো উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি বরং ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া চরম দায়িত্বহীনভাবে বলেছিলেন, 'যত মানুষ মারা যাবার কথা ছিল, তত মারা যায়নি।'
এসময় আক্ষেপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ আশা করেছিল, করোনার এসময়ে বিএনপি বাদানুবাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার আর বিষোদগারের রাজনীতি ত্যাগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা মানুষের পাশেও দাঁড়ায়নি। করোনা মহামারির মধ্যে লোকদেখানো ত্রাণ বিতরণের ফটোসেশনের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত রেখেছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার নিয়ে তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. হাছান করোনায় আক্রান্ত সকলের দ্রুত সুস্থতা ও মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্লেষকরা যা বলছেন, দেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১.২৮ শতাংশ আর মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, তাদের ২৮৪ জন আক্রান্ত ও ৭৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, অর্থাৎ বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মৃত্যুহার ২১ শতাংশ - এনিয়ে আপনাদের মতো আরো অনেকেই প্রশ্ন রেখেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।