পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে লালমনিরহাট, ময়মনসিংহ ও নওগাঁর সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক ৩ বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কঠোর হতে হবে।
তিনি বলেন, সকল আগ্রাসী তৎপরতা রুখে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মাওলানা হামিদী বলেন, প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সীমান্তে যখন ভারত মার খাচ্ছে, তখন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এসে দাম্ভিকতা ও দাদাগিরি দেখাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সকল আইন লংঘন করে ভারতের বিএসএফ একের পর এক বাংলাদেশীদের উপর নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড, অত্যাচার-নির্যাতন, অপমান-লাঞ্ছনা ও অপহরণ করে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী ২০০০ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৩ শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে ভারত। যা বিশ্বের কোন সীমান্তে এত অধিক পরিমাণ হত্যার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাবে না। মাওলানা হামিদী দেশের নাগরিকদের জান-মালের হেফাজতে ভারত তোষণনীতি পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই ভারত আমাদের নাগরিকদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করছে। আর অন্যদিকে চীন, পাকিস্তান ভারতীয় বাহিনীকে হত্যা করে লাশ হাদিয়া দিচ্ছে। বর্তমানে নেপাল-ভুটানের মত ছোট রাষ্ট্রগুলোও ভারতের আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় ভারতের অন্যায়-অবিচার ও আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে হবে। বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে বিনা উস্কানিতে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা সহ্য করা যায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।