পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। প্রতিদিনই মৃত্যুবরণ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন চিকিৎসক ও একজন সহকারী কর কমিশনার। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্ন ইলাইহি রাজিউন। তারা হলেন- চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ইউনুস আলী খান, ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, ডা. ফিরোজা বেগম ও সহকারী কর কমিশনার এস আবুল খায়ের।
এর মধ্যে- সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ইউনুস আলী খান করোনা আক্রান্ত হয়ে বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম খান জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১০ জুন ডা. ইউনুস আলী খানকে ঢাকার তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। এরই মধ্যে বুধবার তিনি মারা যান।
একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাজধানীর আল-মানার হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম। বুধবার রাতে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের একাদশতম ব্যাচের ডা. মিনার জানান, কয়েকদিন আগে ডা. মো. সাইফুল ইসলামের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। সিরাজগঞ্জের সন্তান ডা. মো. সাইফুল ইসলাম ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ডা. ফিরোজা বেগম। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিসের (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত ৫১ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৮ জন চিকিৎসক।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সহকারী কর কমিশনার এস আবুল খায়ের। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর কমিশনার মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সহকারী কর কমিশনার এস এম আবুল খায়ের কেন্দ্রীয় কর জরিপ অঞ্চল, ঢাকার পিআরএলরত ছিলেন। বিভাগীয় পদোন্নতিপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে হাইপেশার (উচ্চ রক্তচাপ), ডায়াবেটিক, লিভারসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।
তিনি আরো বলেন, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ১৮ জুন প্রথমে তাকে রাজধানীর মগবাজারের রাজমনো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার দিবাগত রাতে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। অবস্থার হলে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।