পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত প্রায় চার লাখ ৫৯ হাজার মা ও শিশুর জীবন হুমকির মুখে রয়েছে বলে মনে করছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। মঙ্গলবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। ছয় মাসের মধ্যে সেখানে ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জন হপকিনস বøæমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণার বরাত দিয়ে ইউনিসেফ এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে করোনা রোধে যান চলাচল বন্ধ ও সংক্রমণের ভয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে না যাওয়াকে শিশুদের পুষ্টি বঞ্চনার অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, এখানে চরম দরিদ্র পরিবারগুলো দিনে তিন বেলা খাবার জোগাতে পারছে না। ‘লাইভস আপএনডেড’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউনিসেফ বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিতে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেয়, তা সত্তে¡ও লকডাউনের সময় পরিষেবা প্রাপ্তির সীমিত সুযোগ এবং অভিভাবকদের সংক্রমণের আশঙ্কার কারণে এপ্রিল মাসে শুধু অর্ধেক শিশু তাদের নিয়মিত টিকা নিতে পেরেছে।
জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি বøæমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ কর্তৃক মে মাসে প্রকাশিত একটি গবেষণাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির পরোক্ষ কারণে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে আগামী ছয় মাসে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৮ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমু হোজুমি বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর ক্রমবর্ধমান ক্ষতির প্রেক্ষাপটে শিশুদের ওপর এর প্রভাব ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের জীবন রক্ষাকারী টিকাদান কার্যক্রম এবং পুষ্টিজনিত সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। যেহেতু বাবা-মায়েরা এসব সেবা অনুসন্ধান করে এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা প্রদান করে, তাই বাবা-মা স্বাস্থ্যকর্মী- উভয় শ্রেণিই যাতে নিরাপদে থাকে এবং নিরাপদ বোধ করে সেটাও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের স্কুলগুলোকেও যত দ্রæত সম্ভব নিরাপদে পুনরায় চালু করতে হবে এবং শিশুদের জন্য হেল্পলাইনগুলোকেও আমাদের চালু রাখতে হবে। ইউনিসেফ এ সবক্ষেত্রেই সরকারকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশ; বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার শিশুদের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। ইতোমধ্যে এসব দেশের ২৪ কোটি শিশু বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে বলে জানানো হয় সেখানে। প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশ; বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার শিশুদের বর্তমান অবস্থার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। ইতোমধ্যে এসব দেশের ২৪ কোটি শিশু বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে বলে জানানো হয় সেখানে।
শুধু আর্থিক সঙ্গতি নয়, বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণে কোনো ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ না পাওয়া, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়া, নিন্মমানের কাজ করতে বাধ্য হওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাসে বাধ্য হওয়ার মতো নানাবিধ বঞ্চনা গণনা করা হয়। বহুমাত্রিক এই দারিদ্র্যের তালিকায় চলমান মহামারির কারণে আরও ১২ কোটি শিশু যোগ হলে, দক্ষিণ এশিয়ায় মোট সংখ্যাটি উন্নীত হবে ৩৬ কোটিতে।
এদিকে কভিড-১৯ মহামারি দক্ষিণ এশিয়ার নানা দেশে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করেছে। স্থগিত করেছে প্রচলিত রোগের টিকাদান কর্মসূচি। গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় আগামী মাসগুলোতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অভিভাবকদের হাতে শিশু নির্যাতন বৃদ্ধির তীব্র আশঙ্কাও করছে ইউনিসেফ প্রতিবেদন। শিক্ষাদান নিশ্চিতে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের নানা দেশের সরকার ভার্চুয়াল পাঠদানের ব্যবস্থা নিলেও, ইন্টারনেট সংযোগের অভাব বা চলমান সংকটে এ ধরনের সংযোগ বাবদ বাড়তি অর্থ ব্যয়ে অভিভাবকদের অপারগতায় গ্রামীণ অঞ্চলে এ প্রক্রিয়ার সুফল খুব কম শিশুই পাচ্ছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সংযোগের অভাব তো রয়েছেই। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো পর্যাপ্ত নয়, এমনকি কিছু কিছু দেশে এ ধরনের কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।