পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনা সমস্যাটা কিভাবে সমাধান করবে, সেটা সরকারের চিন্তার মধ্যে নেই। গতকাল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গেরিলা কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা সংক্রমণ থেকে রোগ মুক্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার চিকিৎসা ব্যয় সর্ম্পকে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের কোন চিন্তা-ভাবনা নেই। এখনো মূল প্রবাহ আসেনি। আসবে এ মাসের পরে। যখন গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেন, জাতীয় ওষুধ নীতির নিয়ম বদলালে ওষুধের দাম অর্ধেক হবে। এজন্য সুস্থ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দরকার। জনগণ দাবি ওঠানো ছাড়া এটা সম্ভব না। এর পরিবর্তনের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে আওয়াজ আসতে হবে।
আলোচনার শুরুর বক্তব্যে ডা. মুহিবুল্লাহ খোন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা এবং ওনাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেয়া ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রোগ মুক্তিতে সহায়ক হয়েছে। তিনি বলেন, ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ) আমাদের বলেছেন, দুই নেত্রী তার খোঁজ-খবর নেয়ায় উনি মানসিক শক্তিও পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসকরা ওনার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এছাড়া দেশের অগণিত মানুষ ফোন দিয়ে ওনার স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন।
আলোচনা সভায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ হলেও বুকের ৮০ শতাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামের একজন মানুষ ও কৃষক যে সেবা নিতে পারেন না, তিনি তা গ্রহণ করেন না। উনার করোনা বিজয়ী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় হলো তার মনোবল। ঢাকা মেডিকেলে তার জন্য কেবিন রেডি করেছিলাম। কিন্তু তিনি বলে দিয়েছেন ওখানে থেকে গ্রামের একজন মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে না, আমিও নিবো না। গ্রামের কোন মানুষের এখান থেকে মৃত্যু হলে আমারও হবে।
তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ আমার ৩৫ বছরের চিকিৎসা জীবনে সবচেয়ে ডিফিকাল্ট পেশেন্ট। আমি তার চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, ডায়ালাইসিস রোগীদের করোনা হলে চিকিৎসা দেয়ার মতো হসপিটাল বাংলাদেশে নেই। তবে এখানে ডাইলাইসিস রোগীদের করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউসহ সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি ইউনিট তৈরি করেছেন তিনি।
ডা. মোস্তাফি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে তার একাত্মতাবোধ, তা আমি আর কারো মাঝে দেখিনি। তার প্রতি দেশের মানুষের যে ভালোবাসা ছিলো, তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলে দেখা যায়। প্রতিটা মানুষের দোয়া ছিলো আল্লাহ তুমি এই মানুষটাকে বাঁচিয়ে রাখো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।