Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কাউন্সিলরের বিচার চেয়ে হকার, শ্রমিকদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ৮:০৯ পিএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেনের নেতৃত্বে পরিবহন কাউন্টারে হামলা, ক্যাশ লুট ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে গুলিস্তান, মুক্তাঙ্গন, বায়তুল মোকাররমের সামনের ফুটপাথ ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ বিকালে গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা। এসময় ১৩ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক, ১৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সামিউল আবেদ সুমনের বিচার চান তারা। পরিবহন ব্যবসায়ী ও ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উৎসব কাউন্টারের রফিক, ফুটপাথ ব্যবসায়ী মনির হোসেন, কলু, শরিফ, বুলেট, ইমরান, আলমগীরসহ অনেকে। এতে প্রায় দুই শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক অংশ নেয়।
বক্তারা বলেন, আমরা ফুটপাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার লোকজন আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে গত সোমবার উৎসব পরিবহন কাউন্টারে হামলা করে বন্ধ করে দেয় আবুল হোসেনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সামিউল আবেদ সুমন গংরা। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতারা অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউসার হত্যার আরেক পলাতক আসামি শর্টগান সোহেল ঢাকায় ফিরে এসে সব নিয়ন্ত্রণে নিতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও কাউন্সিলরদের ব্যবহার করছে।
বক্তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেন, ১৩ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সামিউল আবেদ সুমন গংদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলিস্তানে গত সোমবার চাঁদার দাবিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী উৎসব পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করে ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। উৎসব পরিবহনের পরিচালক মো. কাজল জানিয়েছিলেন, ১৩ নম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিমউদ্দিন অর্ধশতাধিক ক্যাডার নিয়ে বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অবস্থিত পরিবহনটির টিকিট কাউন্টারে এসে প্রথমে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় কাউন্টারে ভাংচুর ও নগদ টাকা লুট করা হয়। এসময় তারা শাসিয়ে যায় কাউন্টার খুলতে হলে এবং এই এলাকায় দোকানপার্ট করতে হলে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার এনামুল হক আবুলের অনুমোতি নিতে হবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ জুন, ২০২০, ১০:২৭ পিএম says : 0
    সারা বিশ্ব যখন করোনার প্রতাপে দিগবিদিগ জ্ঞান হারার মত করে দৌড়াচ্ছে তখন বাংলাদেশের নির্বাচিত কাউন্সিলর আবুল হোসেন পরিবহন কাউন্টারে হামলা, ক্যাশ লুট ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছেন। অন্যান্য এলাকার কাউন্সিলরদের সমর্থকদের নিয়েও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এসব দিখলে, জানলে এবং পত্রিকায় পড়লে আমার নিজের কথা মনে পড়ে আমি এলাবলে এভাবে সভা করে প্রতিবাদ করার সামর্থ নেই। তাই এধরনের সংবাদ প্রচার হলেই আমি সেই সংবাদের সাথে আমার ঘটনাটা তুলে ধরি যদি এর কোন বিহিত হয়। কিন্তু আসোলে কোন বিহিত হয়না তবে আমি পরবর্তীতে এইসব লিখা কাজে লাগাই এটাও আমার জন্যে একটা উপকার। আমি বিদেশে আসার পর ঢকায় বাবার রেখে যাওয়া বাড়ি আমদের মধ্যে বন্টনের পর আমি বিদেশী টাকায় কয়েকটি এপ্যারটমেন্ট বানিয়ে ভাড়া দিয়েছি। গত মার্চ ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীকরে নাদিলে আমার ম্যানেজারকে মালিবাগ এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। আমি থানায় নালিশ করলে থানা ওদেরকে চাঁদা দিয়ে বিষয়টা মীমাংশা করতে বলে কারন এদের সাথে সেই সময়ের কমিশনার জড়িত ছিল। আমি নীতিগত কারনে চাঁদা কোন ভাবেই দিতে চাইনা ফলে আমি সরাসরি কানাডিয়ান হাইকমিশনে যোগাযোগ করে থানায় ফোন দেয়ার ব্যাবস্থা করি। থানা ফোন পেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং ছাত্রলীগ নেতারা থানায় বন্ড দিয়ে আমার সাথে আপোষ করে। সেই থেকে আমি ভালই ছিলাম আবার নতুন কমিশনার হবার পর আমার এক ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী (এলাকায় মুদীদোকানদার) এলাকায় সরকারি দলের প্রভাবে ক্ষমতা সম্পন্ন একজন লোক হিসাবে পরিচিত যিনি কয়েক বছর ধরে আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া। মে মাসে ঐ লোক আমার বাড়ি ছেড়ে দিয়েও তার সাথে যারা শেয়ারে ভাড়ায় থাকতো তাদের কাছ থেকে ভাড়া সম্পূর্ণ আদায় করে সেই টাকা নিজের পকেটে ভরে আমাকে করোনার দোহাই দিয়ে তিন মাশের (এপ্রিল, মে, জুন) ভাড়া দিচ্ছেনা। কিন্তু সে নিজে আমার কাছে থেকে নেয়া বাসায় থাকেনা। আমার ম্যানেজার যখনই অন্যদের কাছ থেকে জানতে পারে যে দোকানদার ভাড়া আদায় করেছে। তখন কানাডা থেকে আমার স্ত্রী তাঁকে (দোকানদারকে) ফোন দেয় এরপর সে জুন থেকে বাসা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায় এবং ভাড়া দিবে বলে। তিনি ভাড়া দেননি সাথে সাথে এই তিন মাশের কোন রকম বিলও দিচ্ছেননা। এখন কি আমাকে আবারো কানাডিয়ান হাইকমিশনে যেতে হবে??? এভাবে যদি দেশের আইন কানুন কমিশনারদের সমর্থিত ব্যাক্তিরা নিজের হাঁতে নিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করতে থাকে তাহলে কিভাবে দেশ চলবে এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটা প্রশ্ন......... তারই (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সমর্থনে নির্বাচিত কমিশনাররা কিভাব এসব অন্যায় করছে?? আল্লাহ্‌ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারই মনোনয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ন্ত্রনে রাখার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ